বিড়ালের ছবি দেওয়া সেই পোস্টার। নিজস্ব চিত্র
নাম: পুচু। বয়স: ১ বছর ৬ মাস। গায়ের রং সাদা, লেজে হলুদ-বাদামি ডোরাকাটা দাগ।
এমন বর্ণনা দিয়েই নিখোঁজ পোষ্যের সন্ধানে শহরে সাঁটানো হল পোস্টার। পোস্টারের উপরে বড় হরফে লেখা, ‘সন্ধান চাই’। পুচু নামে ওই বিড়ালের খোঁজ দিতে পারলে দু’হাজার টাকা পুরস্কার মূল্যও ঘোষণা করা হয়েছে। মেদিনীপুর শহরে আগে এমনটা কবে হয়েছে, মনে করতে পারছেন না পশুপ্রেমীরা।
হারিয়ে যাওয়া পোষা বিড়ালের খোঁজ পেতে পোস্টার দিয়েছেন পশ্চিম মেদিনীপুরের অতিরিক্ত জেলাশাসক (ভূমি ও ভূমি সংস্কার) উত্তম অধিকারী। শুক্রবার তিনি বলেন, ‘‘অনেক খুঁজেছি। কোথাও পাচ্ছি না। বাধ্য হয়ে পোস্টার দিয়েছি। যদি খোঁজ মেলে!’’ মেয়ে উর্নিতার পরামর্শেই শহরে এমন পোস্টার দিয়েছেন অতিরিক্ত জেলাশাসক। উর্ণিতা মনে করেন, পোস্টার দেখে অনেকে সচেতন হবেন। কোথাও পোষ্যকে ঘুরে বেড়াতে দেখলে হয়তো খবরও দিতে পারেন। উত্তম মানছেন, ‘‘পুচু নিখোঁজ হওয়ার পর মেয়ের মনটা খুব খারাপ। পোস্টার দেওয়ার কথা ওই বারবার বলছিল।’’
গত রবিবার সকাল থেকে নিখোঁজ এই পোষ্যটি। মেদিনীপুরে কালেক্টরেটের অদূরে জেলাশাসকের বাংলো রয়েছে। একই চত্বরে উত্তমের বাংলো। বিড়ালটি উত্তমদের সঙ্গে এই বাংলোতেই থাকত। গত রবিবার কালীপুজোর আগের দিন থেকেই মেদিনীপুরে শব্দবাজি ফেটেছে। অনেক সময় শব্দবাজির দাপটে পোষ্য ঘর ছড়ে। তবে এ ক্ষেত্রে সেই সম্ভাবনা কম। বরং সামনে আসছে প্রেমের তত্ত্ব। পোষা বিড়ালটি ছেলে। দিন কয়েক আগে ওই বাংলো চত্বরে একটি মেয়ে বিড়ালের দেখা মেলে। পশু চিকিৎসকদের অনুমান, তার প্রেমের টানেই ঘর ছেড়েছে পুচু। বস্তুত, যে দিন থেকে পুচু নিখোঁজ হয়েছে, সে দিন থেকে ওই মেয়ে বিড়ালটিকেও আর বাংলোর আশপাশে দেখা যায়নি। উত্তম মানছেন, ‘‘দিন কয়েক আগে ক্যাম্পাসে একটি মেয়ে বিড়াল দেখেছিলাম।’’
বছর খানেক আগে পুরুলিয়ার অতিরিক্ত জেলাশাসক (সাধারণ) ছিলেন উত্তমবাবু। তখনই তিনি বিড়ালটি ঘরে এনেছিলেন। পুরুলিয়া থেকে বদলি হয়ে পশ্চিম মেদিনীপুরে আসার সময় তিনি পোষ্যটিকে সঙ্গে করে আনেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy