মালদহের হবিবপুরে পরিযায়ী শ্রমিকের মৃত্যুর খবরে কান্নায় ভেঙে পড়েছেন পরিজনেরা। নিজস্ব চিত্র।
ফের ‘দাদন’ (চুক্তিভিত্তিক অগ্রিম) নিয়ে ভিন্ রাজ্যে কাজে গিয়ে মৃত্যু হল মালদহের এক পরিযায়ী শ্রমিকের। বৃহস্পতিবার হায়দরাবাদ থেকে বিমল হালদারের (৪২) দেহ ফিরল হবিবপুরের আইহোর মালোপাড়ায়। সকালে তাঁর দেহ ফিরতেই শ্রমিক সরবরাহকারী ঠিকাদারের বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগরে দেন মৃতের পরিবার ও গ্রামবাসীরা। তাঁদের দাবি, খাবার নিয়ে বচসায় গাছের ডাল দিয়ে পিটিয়ে খুন করা হয় বিমলকে। ঠিকাদার ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন ।
বিমলকে খুন করার অভিযোগে হায়দরাবাদের সেকেন্দ্রাবাদে দক্ষিণ দিনাজপুরের হরিরামপুরের বাসিন্দা এক আদিবাসী যুবকের নামে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্ত যুবক ফেরার। সেকেন্দ্রাবাদেই তাঁর দেহের ময়না-তদন্ত করা হয়েছে। মালদহের পুলিশ সুপার প্রদীপকুমার যাদব বলেন, “পরিবারের দাবি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।” পরিবারের দাবি, ১৯ হাজার টাকা দাদন নিয়ে দু’মাস আগে, সেকেন্দ্রাবাদে রাজমিস্ত্রির কাজে যান বিমল। তাঁর স্কুল-পড়ুয়া দুই ছেলে-মেয়ে রয়েছে। মার্চ মাসে দোলের সময়ে তাঁর বাড়ি ফেরার কথা ছিল। গত সোমবার বিকেল ৫টা নাগাদ ভাত খেতে বসার সময় হরিরামপুরের যুবকের সঙ্গে বিমলের বচসা বাধে। সে সময়ই অভিযুক্ত গাছের ডাল দিয়ে বিমলকে মারধর শুরু করে। পরে, উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
বিমলের বাবা জগৎ হালদার বলেন, “ছেলেকে ভিন্ রাজ্যে পিটিয়ে খুন করা হলেও শ্রমিক সরবরাহকারী মোসিম মিঞা কিছু জানাননি। ছেলে মদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি বলে জানানো হয়েছিল। মোসিম ঘটনা ধামাচাপা দেওয়ার চেষ্টা করেছেন।” যদিও এ দিন মোসিম বলেন, “প্রথমে ঘটনাটি আমারও জানা ছিল না। পরে, জানতে পেরে পরিবারকে জানানো হয়েছে।” রাজ্যের কর্মসাথী পোটালে বিমলের নাম আছে, দাবি পরিবারের। হবিবপুরের বিডিও অংশুমান দত্ত বলেন, “মৃতের পরিবারের পাশে প্রশাসন রয়েছে। পরিবারটিকে সব রকম ভাবে সহযোগিতা করা হবে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy