প্রতীকী ছবি।
কখনও তিনি সেনাকর্মী, কখনও বা ডাক্তার। অভিযোগ, সমাজ মাধ্যমে এই ভাবে পরিচয় ভাঁড়িয়ে নিজের প্রোফাইল খুলতেন এক যুবক। তার পরে একাধিক যুবতীকে বিয়ে করে তাঁদের কাছ থেকে টাকা হাতিয়ে পালানোর অভিযোগও রয়েছে ওই যুবকের বিরুদ্ধে। কিন্তু শেষ রক্ষা হল না দীপক শর্মা নামে ওই যুবকের। পুলিশ সূত্রে খবর, তাঁরই পথ ধরে তাঁকে কাবু করেন তাঁর দ্বিতীয় স্ত্রী। সমাজ মাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খুলে বিয়ের প্রলোভন দেখান। সেই ‘টানে’ অসম থেকে চলেও দক্ষিণ দিনাজপুরে এসেছিলেন দীপক। সোমবার দীপকের দ্বিতীয় স্ত্রীয়ের অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে গ্রেফতার করে বালুরঘাটের পুলিশ। ওই যুবক আদতে সেনাকর্মী কি না, অথবা ঠিক কতগুলো বিয়ে করেছেন, সেই তদন্ত শুরু হয়েছে বলে পুলিশ কর্তৃপক্ষ জানান।
প্রতারিত ওই মহিলার অভিযোগ, দীপক সমাজ মাধ্যমেই ফাঁদ পেতে বিভিন্ন মেয়ের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তার পর তাঁদের কাউকে সেনাকর্মী, কাউকে ডাক্তার পরিচয় দিয়ে বিয়ে করে। পরে ওই মেয়েদের টাকা-পয়সা হাতিয়ে চম্পট দেন বলে অভিযোগ। অসমে ওই যুবকের প্রথম পক্ষের স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে রয়েছে। সেই কথা গোপন রেখেই একের পর এক মেয়েকে অবিবাহিত পরিচয় দিয়ে ওই যুবক বিয়ে করে চলেছেন বলে অভিযোগ। এই ভাবেই তিনি বিয়ে করেন বালুরঘাটের এই মহিলাকে। আরও অভিযোগ, দীপক সম্প্রতি জলপাইগুড়ি ও মালদহের দুই তরুণীকেও বিয়ে করেছিলেন। দু’জনের ক্ষেত্রেই টাকাপয়সা হাতিয়ে পালানোর অভিযোগও রয়েছে।
অভিযোগকারী দ্বিতীয় স্ত্রী পুলিশকে জানান, ২০১৬ সালে সমাজ মাধ্যমেই দীপকের সঙ্গে পরিচয় তাঁর। তখন দীপক নিজেকে সেনাকর্মী বলে পরিচয় দিয়েছিলেন, জানিয়েছিলেন তিনি অবিবাহিত। ওই তরুণীর দাবি, দীপককে তিনি বিশ্বাস করেন এবং পালিয়ে বিয়ে করে দু’জনে শিলিগুড়িতে বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। তাঁর আরও দাবি, পরে তিনি জানতে পারেন ওই যুবক প্রতারক, কিন্তু তত দিনে তাঁর বাবার কাছ থেকে দু’লক্ষ টাকা হাতিয়ে পালিয়েছেন দীপক।
দ্বিতীয় স্ত্রী জানান, এর পরে দীপকের পথেই তিনি তাঁকে ফাঁদে ফেলার ছক কষেন। সমাজমাধ্যমে ভুয়ো অ্যাকাউন্ট খোলেন। তার পরে দীপককে বিয়ে করার নাম করে বালুরঘাটে ডেকে আনেন। এ দিন থানায় বসে ধৃত দীপক তাঁর বিরুদ্ধে সব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy