Advertisement
E-Paper

ব্রহ্মা অধরাই বাংলার আরোহীদের

রবিবার সকালে তুষারপাত, হোয়াইট আউটের মধ্যেও ব্রহ্মার শীর্ষের দিকে এগোচ্ছিলেন বাংলার ন’জন আরোহী। সঙ্গী ছয় শেরপা। বাকি ছিল মাত্র ১৩৬ মিটার। তখনই ছন্দপতন।

Brahma Peak

১৯৭৩ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী স্যর ক্রিস বনিংটন এই শৃঙ্গে প্রথম আরোহণ করেন। ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ১৭ জুলাই ২০২৩ ০৮:৫১
Share
Save

গত ৪৪ বছরে কারও কাছেই ধরা দেয়নি কাশ্মীরের ব্রহ্মা ১ শৃঙ্গ (৬৪১৬ মিটার)। সেই খরা কাটাতে রবিবার সকালে তুষারপাত, হোয়াইট আউটের মধ্যেও ব্রহ্মার শীর্ষের দিকে এগোচ্ছিলেন বাংলার ন’জন আরোহী। সঙ্গী ছয় শেরপা। বাকি ছিল মাত্র ১৩৬ মিটার। তখনই ছন্দপতন। সামিটের রুট খুলতে গিয়ে ৭০ মিটার নীচে পড়ে গেলেন ওই দলের সঙ্গে থাকা এক শেরপা। তাই ব্রহ্মার স্বপ্নকে অধরা রেখেই ক্যাম্প ২-তে ফিরেছেন আরোহীরা। তার পরে সোমবার রাতে বেরিয়ে আরও এক বার ব্রহ্মাকে ছুঁয়ে দেখার চেষ্টা করতে পারেন দলনেতা রুদ্রপ্রসাদ হালদার ও তাঁর দলবল।

কাশ্মীরের কিস্তওয়াড় জেলার এই বিপজ্জনক ও কঠিন শৃঙ্গে অভিযান চালাচ্ছেন সোনারপুরের একটি পর্বতারোহণ ক্লাবের ১২ জন আরোহী। রুদ্র জানান, শনিবার রাত ১২টা নাগাদ অল্প তুষারপাতের মধ্যেই সামিট-যাত্রা শুরু হয়। ভোর ৫টায় ৬১৫৬ মিটার উচ্চতায় পৌঁছে যান রুদ্রপ্রসাদ ও তাঁর আট সঙ্গী— সপ্তশৃঙ্গজয়ী সত্যরূপ সিদ্ধান্ত, পার্থসারথি লায়েক, অভীক মণ্ডল, রুদ্রপ্রসাদ চক্রবর্তী, দেবাশিস মজুমদার, নৈতিক হালদার, উদ্দীপন হালদার ও তুহিন ভট্টাচার্য। কিন্তু হোয়াইট আউটের মধ্যে দেখতে না পেয়ে তেনজিং শেরপা ৭০ মিটার নীচে পড়ে যান। তিন শেরপা তাঁকে উদ্ধার করে ক্যাম্প ২-তে নামান। দলনেতা জানিয়েছেন, সোমবার কিস্তওয়াড় হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানোর চেষ্টা হবে। ১৯৭৩ সালে ব্রিটিশ পর্বতারোহী স্যর ক্রিস বনিংটন এই শৃঙ্গে প্রথম আরোহণ করেন। তার পর থেকে একাধিক অভিযানই ব্যর্থ।

(এই প্রতিবেদনটি আনন্দবাজার পত্রিকার মুদ্রিত সংস্করণ থেকে নেওয়া হয়েছে)

Kashmir West Bengal

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

{-- Slick slider script --}}