নবান্ন। ফাইল চিত্র
সম্প্রতি মেদিনীপুরে প্রশাসনিক সভায় একটি প্রকল্প তৈরি নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যদিও পরে পূর্ত দফতর জানায়, ওই প্রকল্পের বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট (ডিটেলড প্রোজেক্ট রিপোর্ট বা ডিপিআর) তৈরি করেনি তারা। কিন্তু, সেই ঘটনা থেকে শিক্ষা নিয়ে এ বার পূর্ত দফতরে নতুন বিস্তারিত প্রকল্প রিপোর্ট বিভাগ বা 'ডিপিআর সেল' তৈরি করা হল। সম্প্রতি পূর্ত দফতর একটি বিজ্ঞপ্তি জারি করেছে। সেই বিজ্ঞপ্তিতে পূর্ত ডিরেক্টরেটের চিফ ইঞ্জিনিয়ার হেডকোয়ার্টার্সকে এই সেলের প্রধান করা হয়েছে। এই সেলে আরও থাকবেন এক জন সুপারিন্টেন্ডিং অফিসার, দু’জন এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচ জন অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার, পাঁচ জন জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার, চার জন ড্রাফ্টসম্যান ও এক জন করে অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল), জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল), এগজিকিউটিভ ইঞ্জিনিয়ার (ইলেক্ট্রিক্যাল), অ্যাসিস্ট্যান্ট আর্কিটেক্ট এবং অ্যাসিস্ট্যান্ট ইঞ্জিনিয়ার (মেক্যানিক্যাল)।মেদিনীপুরের সভায় মুখ্যমন্ত্রী ক্ষোভ প্রকাশের পরেই যে নতুন সেলটি করা হচ্ছে, তা মানতে নারাজ পূর্ত দফতরের আধিকারিকরা। তাঁদের যুক্তি, ২০২১ সালে তৃতীয় বার ক্ষমতায় আসার পর থেকে মুখ্যমন্ত্রী একগুচ্ছ নতুন প্রকল্প হাতে নিয়েছেন। প্রকল্পগুলির দ্রুত বাস্তবায়নেও জোর দিচ্ছেন তিনি। সেই লক্ষ্যেই নতুন সেল গড়ল পূর্ত দফতর। যে সব দফতরের নিজস্ব ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নেই, এই সেলের কাজ হবে তাদের প্রকল্পগুলি দ্রুত বাস্তবায়নে সহায়তা করা। সূত্রের খবর, কোনও সরকারি প্রকল্পের ডিপিআর তৈরির আগে সমীক্ষার কাজও করবে এই নতুন সেল। এমনকি প্রকল্প রূপায়ণেও গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবেন এই সেলের আধিকারিকরা। খাদ্য প্রক্রিয়াকরণ, মৎস্য, শিক্ষা, ক্ষুদ্র শিল্প, কৃষি বিপণনের মতো দফতরগুলির কোনও ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ নেই। বিভিন্ন প্রকল্পের ডিপিআর তৈরি করতে এই দফতরগুলিকে বেসরকারি সংস্থার উপর নির্ভর করতে হয়। কিন্তু নতুন এই সেল গঠনের পর সেই সব কাজ পূর্ত দফতর করতে পারবে অনেক কম খরচে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy