Advertisement
০৫ নভেম্বর ২০২৪
Jhargram Hospital

মার খেয়ে অবস্থানে চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরা

শনিবার দুপুরে মৃতের পরিজনেরা ওই হাসপাতালের ডাক্তার অর্ণাশিস হোতাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ।

ছবি: সংগৃহীত

ছবি: সংগৃহীত

নিজস্ব সংবাদদাতা
ঝাড়গ্রাম শেষ আপডেট: ২০ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৪:৪১
Share: Save:

করোনা হাসপাতালে শুক্রবার রাতে মৃত্যু হয় দু’জনের। তার জেরেই ধুন্ধুমার বাধল ঝাড়গ্রামে।

শনিবার দুপুরে মৃতের পরিজনেরা ওই হাসপাতালের ডাক্তার অর্ণাশিস হোতাকে মারধর করেন বলে অভিযোগ। শুক্রবার মারধরের অভিযোগ উঠেছিল এক স্বাস্থ্যকর্মীকে। প্রতিবাদে এ দিন দুপুরে হাসপাতাল থেকে ৫০ মিটার দূরে জেলা সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল ভবনের সামনে সুপার-সহ চিকিৎসক, নার্স ও স্বাস্থ্যকর্মীরা কর্মবিরতি শুরু করেন। জেলাশাসক ও জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকের বিরুদ্ধে স্লোগান ওঠে। তাঁদের সংক্রমণের তথ্য চাপতে বাধ্য করা হচ্ছে বলেও অভিযোগ ওঠে।

সুপার স্পেশালিটির সুপার ইন্দ্রনীল সরকারই ওই করোনা হাসপাতালের দায়িত্বে। তিনি বলেন, ‘‘চিকিৎসদের অভিযোগ ও সমস্যার সুরাহার জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছি।’’

জেলার করোনা তথ্য গোপন ও চিকিৎসায় ঘাটতির অভিযোগে পথে নামে শাসক-বিরোধী। বেলা ১২টা নাগাদ ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া রাজ্য সড়ক অবরোধ শুরু হয়। বামেরা শুরু করলেও পরে তৃণমূল ও বিজেপির অনেকে তাতে যোগ দেন। মৃতের পরিজনেরাও দফায় দফায় রাস্তা অবরোধ করেন। বিক্ষোভকারীরা হাসপাতালের ভিতরে ঢোকার চেষ্টা করলে বাধা দেয় পুলিশ।

পাশাপাশি দুপুর ২টো থেকে টানা কর্মবিরতি চলতে থাকে। সন্ধ্যায় জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক প্রকাশ মৃধা হাসপাতাল সুপারের ঘরে কথা বলে চলে যান। ধর্নাস্থলে যাননি। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে কথা বলতে যান প্রাক্তন সাংসদ উমা সরেন। তিনি ধর্নাস্থল থেকে মোবাইলের স্পিকার চালু করে মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিককে ফোন করেন। তখন প্রকাশ দাবি করেন, চিকিৎসকেরাই কথা বলতে চাননি। পরে উমার আবেদনে চিকিৎসকেরা কাজে ফিরেছেন। তবে সোমবারের মধ্যে মারধরে অভিযুক্তদের গ্রেফতার, পরিকাঠামোর উন্নয়ন-সহ নানা শর্ত রেখেছেন তাঁরা।

অন্য বিষয়গুলি:

Jhargram Hospital Health
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE