এমন বেসকারি বাসের ভাড়া বৃদ্ধি নিয়ে টানাপড়েন। — প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
রাজ্যের বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসের ভাড়া নিয়ে পরিবহণ সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা করার অনুমতি দিল কলকাতা হাই কোর্ট। আদালতের নির্দেশ পরিবহণ সচিব কার্যকর করেননি বলে জনস্বার্থ মামলকারীর অভিযোগ। তারই প্রেক্ষিতেই মামলা দায়েরের অনুমতি। আগামী সপ্তাহে মামলাটির শুনানির সম্ভাবনা রয়েছে।
কোভিডের পর থেকে রাজ্যের বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসের ভাড়া অনেকটাই বেড়ে যায়। অথচ পরিবহণ দফতর হাই কোর্টে হলফনামা জমা দিয়ে জানায়, ২০১৮ সালের পর থেকে রাজ্যে বেসরকারি বাস এবং মিনিবাসের ভাড়া বৃদ্ধি করা হয়নি। তখনকার বেঁধে দেওয়া ভাড়াই নিতে হবে বেসরকারি বাসগুলিকে— এমনটাই জানায় তারা। হাই কোর্ট নির্দেশ দেয়, ভাড়ার ক্ষেত্রে ওই নিয়ম মানতে হবে। এ ছাড়া প্রতি বাসে ভাড়ার তালিকা এবং অভিযোগ জানানোর নম্বর দৃশ্যমান করে রাখতে হবে। জনস্বার্থ মামলাকারী প্রত্যুষ পাটোয়ারি আদালতের দৃষ্টি আকর্ষণ করে জানান, প্রায় দু’মাস পেরিয়ে গেলেও হাই কোর্টের নির্দেশ পালন করা হয়নি। এখনও অবধি কলকাতা-সহ রাজ্যের বেশিরভাগ জায়গায় বাসের ভাড়ার তালিকা দেওয়া থাকে না। যেমন খুশি ভাড়া নেওয়া চলছে। আদালতের নির্দেশের পরেও পরিবহণ দফতরের সচিবকে সক্রিয় ভূমিকা নিতে দেখা যায়নি। এর পরেই মামলা দায়ের অনুমতি দিয়েছে আদালত।
তবে পরিবহণ দফতরের বিরুদ্ধে অভিযোগ, কলকাতা হাই কোর্ট নির্দেশ দিলেও তা কার্যকর করার কোনও উদ্যোগ দেখা যায়নি পরিবহণ দফতর। ফলে সরকারি বাস নিয়ম মেনে ভাড়া নিলেও বেসরকারি বাসগুলিতে ইচ্ছে মতো ভাড়া নেওয়া হচ্ছে। বেসরকারি বাসে উঠলেই যাত্রীদের দিতে হচ্ছে ন্যূনতম ১০ টাকা। তার পর দূরত্ব অনুযায়ী কোথাও ১২, ১৫ বা ১৮ টাকা। এমন ভাড়া নেওয়া হলেও তা রুখতে যেমন পরিবহণ দফতর কোনও উদ্যোগ নেয়নি, তেমনই যাত্রীদের অভিযোগ জানাতে যে হেল্পলাইন নম্বর চালু করতে বলা হয়েছিল, তা-ও চালু করা হয়নি। এ ক্ষেত্রে আদালত পরিবহণ দফতরকে নির্দেশ কার্যকর করতে ৪ মাস সময় দিলেও তা কাজে লাগানো হয়নি। এমনই সব অভিযোগের ভিত্তিতে পরিবহণ সচিবের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননা মামলা দায়ের হতে চলেছে হাই কোর্টে। পরিবহণ দফতর সূত্রে খবর, বিষয়টি নিয়ে বিস্তারিত ভাবে জানার পরেই আইনি পদক্ষেপ করা হবে।
২০১৮ সালের সরকারি নির্ধারিত ভাড়া অনুযায়ী, বাসে উঠলে প্রথম তিন কিলোমিটারের জন্য সাত টাকা করে দিতে হত। পরে দূরত্ব অনুযায়ী সেই ভাড়া ১০ থেকে ১৫ টাকার মধ্যে নির্ধারিত হত।এ ক্ষেত্রে বাস মালিকদের সংগঠনগুলির যুক্তি, করোনা ভাইরাসের সংক্রমণের পর থেকেই রাজ্যের বেসরকারি বাস পরিষেবা কোমায় চলে গিয়েছে। এ বার যদি ২০১৮ সালের সরকারের নির্ধারিত তালিকা অনুযায়ী ভাড়া নিতে হয়, তা হলে বেসরকারি পরিবহণ পরিষেবা আর কোনও দিনও কোমা থেকে বেরোবে না।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy