শনিবার তেলেনিপাড়া যাওয়ার পথে চন্দননগরের জ্যোতির মোড়ে সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায়। এখানেই তাঁকে আটকায় পুলিশ। ছবি: তাপস ঘোষ
সাম্প্রদায়িক উস্কানি-সহ নানা ধারায় হুগলির বিজেপি সাংসদ লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং ব্যারাকপুরের সাংসদ অর্জুন সিংহের বিরুদ্ধে মামলা করল চন্দননগর কমিশনারেটের পুলিশ। আগামী শুক্রবার দু’জনকেই তদন্তকারী আধিকারিকদের কাছে হাজিরা দেওয়ার জন্য নোটিস পাঠানো হয়েছে।
সম্প্রতি তেলেনিপাড়ায় দুই গোষ্ঠীর গোলমাল হয়। ওই ঘটনা নিয়ে গত বৃহস্পতিবার লকেট এবং অর্জুন হুগলির জেলাশাসক ওয়াই রত্নাকর রাওয়ের সঙ্গে দেখা করতে যান। কিন্তু জেলাশাসকের দেখা না-মেলায় দুই সাংসদ তাঁর দফতরের সামনে অবস্থানে বসেন। তার পরে তেলেনিপাড়ায় যাওয়ার চেষ্টা করেন। মাঝপথে পুলিশ তাঁদের আটকায়। লকেটরা দাবি করলেও চন্দননগরের পুলিশ কমিশনার হুমায়ুন কবীরের দেখাও পাননি। সেই সময় পুলিশের সঙ্গে তাঁদের বাদানুবাদ হয়। দুই সাংসদই তেলেনিপাড়ার গোলমাল নিয়ে নানা মন্তব্য করেন। সোশ্যাল মিডিয়ায় সেই ছবি ছড়ায়।
পুলিশ সূত্রের খবর, শুক্রবার তৃণমূলের তরফে লকেট-অর্জুনের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ দায়ের করা হয়। তার ভিত্তিতে সাম্প্রদায়িক উস্কানি ছড়ানো, সরকারি আদেশ অমান্য-সহ বেশ কয়েকটি ধারায় মামলা করা হয়। কমিশনারেটের এক আধিকারিক বলেন, ‘‘সম্প্রীতি নষ্ট হয়, এমন কথা ওঁরা বলেছেন। সেই কথার ভিডিয়ো ফুটেজ আমাদের হাতে রয়েছে।’’
তাঁদের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ার কথা শুনে লকেট বলেন, ‘‘আমার আইনজীবী তদন্তকারীদের সঙ্গে দেখা করবেন। সে দিন তেলেনিপাড়ায় যাতে শান্তি ফেরে, সে জন্য সে ব্যাপারে সাংসদ হিসেবেই জেলাশাসক এবং পুলিশ কমিশনারের সঙ্গে দেখা করতে চেয়েছিলাম। নানা অজুহাতে তেলেনিপাড়ার আগে তাঁকে আটকে দেওয়া হয়েছে। থানায় পর্যন্ত যেতে দেওয়া হয়নি।’’ একই সঙ্গে তাঁর অভিযোগ, ‘‘এখানে রাজনীতি হচ্ছে। চন্দননগরের স্থানীয় বিধায়ক (ইন্দ্রনীল সেন) থানায় গিয়েছেন। সেখানে সিপি তাঁর সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’’
অর্জুন বলেন, ‘‘আমি বিজেপিতে যোগ দেওয়ার পর থেকেই মুখ্যমন্ত্রী এবং তাঁর দল আমার বিরুদ্ধে একের পর এক মামলা দিচ্ছেন। ওখানে (তেলেনিপাড়া) তৃণমূলই সাম্প্রদায়িক উস্কানি দিচ্ছে। আমরা তা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়েছিলাম। মামলা দিয়ে আমাদের যাওয়া বন্ধ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
এ বিষয়ে তৃণমূলের জেলা সভাপতি দিলীপ যাদবের দাবি, ইন্দ্রনীল এলাকার করোনা পরিস্থিতি নিয়ে কথা বলতে চন্দননগর থানায় গিয়েছিলেন। দিলীপের কটাক্ষ, ‘‘উনি (লকেট) তো কোভিড নিয়ে ভাবিত নন। মানুষে মানুষে বিভেদ সৃষ্টি করতে আর সোশ্যাল মিডিয়ায় ছবি তুলে নাটুকেপনা করতে গিয়েছিলেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy