সময়ের দাবি মেনে পঞ্চায়েত এলাকাতেই গড়ে উঠছে বহুতল আবাসন। কিন্তু সেই সব আবাসনে দেওয়া যাচ্ছে না যথাযথ নাগরিক পরিষেবা। তাই এ বার বিধানসভার বাজেট অধিবেশনেই এই সংক্রান্ত বিষয়ে একটি সংশোধনী বিল আনার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। মঙ্গলবার বিধানসভায় বসছে সবর্দলীয় বৈঠক, ওই দিনই পরে কার্যবিবরণীর বৈঠক হওয়ার কথা। এই বৈঠকেই স্থির হলে বিধানসভার বাজেট অধিবেশনের আগামী কার্যবলি। মনে করা হচ্ছে, ৮ ফেব্রুয়ারি দুপুরে রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের বক্তৃতার পরে ৯ তারিখ ধার্য হবে শোকপ্রস্তাবের জন্য। ১০ ও ১৩ ফেব্রুয়ারি রাজ্যপালের বক্তৃতার উপর আলোচনা হবে। ১৪ তারিখ পঞ্চানন বর্মার জন্মদিন উপলক্ষে ছুটি ঘোষণা করেছে রাজ্য সরকার। তাই ওই দিন বন্ধ থাকবে বিধানসভার কাজকর্ম।
১৫ ফেব্রুয়ারি পেশ হবে বাজেট। তার পর কয়েক দিন বাজেট নিয়ে আলোচনার শেষে, রাজ্যের তরফে কয়েকটি বিল আনা হবে। সেই পর্যায়েই পুর ও নগরোন্নয়ন দফতর একটি সংশোধনী বিল আনবে। সেই বিলে পঞ্চায়েত এলাকার আবাসনগুলিতে কী ভাবে সুযোগ-সুবিধা দেওয়া যায়, সে বিষয়ের উল্লেখ থাকবে। কারণ রাজ্যে এমন কিছু উপনগরী তৈরি হয়েছে, যা পঞ্চায়েত এলাকার আওতাধীন। সম্প্রতি এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা হয়েছে পঞ্চায়েত ও পুর দফতরের মধ্যে।
আরও পড়ুন:
আগামী পঞ্চায়েত ভোটের আগেই বিষয়টির নিষ্পত্তি করতে চায় রাজ্য সরকার। তাই বিলটি আনার আগে যে সমস্ত জেলায় এই ধরনের উপনগরী গড়ে উঠেছে বা বহুতল তৈরি হয়েছে। সেই সমস্ত জেলার জেলাশাসকদের থেকে একটি রিপোর্টও আনিয়েছে পুর দফতর। সেই রিপোর্ট খতিয়ে দেখেই তৈরি হয়েছে সংশোধনী বিলটি। তবে এই বিলে কর সংক্রান্ত কোনও সংশোধনী রয়েছে কি না, তা জানতে নারাজ পুর দফতর। তবে এক সরকারি আধিকারিকের কথায়, ‘‘বহুতলের বাসিন্দারা সব সময় সুযোগ-সুবিধা চাইবেন, সেটাই স্বাভাবিক। কিন্তু তাঁরা কখনওই বুঝতে চান না যে, পঞ্চায়েত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনলে কী কী অসুবিধা হতে পারে। তাই পঞ্চায়েত এলাকায় ফ্ল্যাট কিনলে যাতে তাঁরা সব রকম শহুরে সুযোগ-সুবিধা পান, সেই লক্ষ্যেই এই নতুন বিলটি আনা হচ্ছে।’’