—ফাইল চিত্র।
তাঁর দলের যে-সব জনপ্রতিনিধি ‘কাটমানি’ নিয়েছেন, তাঁদের তা ফেরানোর নির্দেশ দিয়ে তৃণমূলে এবং সামগ্রিক ভাবে রাজ্যে গত পাঁচ দিন ধরে ধুন্ধুমার বাধিয়ে দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় স্বয়ং। এ বার তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বিবৃতি দিয়ে দাবি করলেন, তাঁদের দলনেত্রীর মতে, তৃণমূলের কর্মী এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিদের ৯৯.৯৯%-ই সৎ। সে কথা নেত্রী আগেই বলেছেন। যে সামান্য অংশ ‘অসাধু’, তাঁরা মূলত অন্যান্য দল থেকে এসেছেন। তাঁদের ‘অপকর্মে’র বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
লোকসভা ভোটে ধাক্কা খাওয়ার পরে তৃণমূলের অন্দরের পর্যালোচনায় বার বার ‘কাটমানি’র প্রসঙ্গ উঠে এসেছে। শিশির অধিকারীর মতো প্রবীণ সাংসদও বলেছেন, একটা শৌচাগার করার জন্যও ১০ হাজার টাকা ‘কাটমানি’ দিতে হয়।
পরিষেবা বণ্টন ব্যবস্থায় অনিয়ম সম্পর্কে বলতে গিয়ে মমতা বিধায়কদের উদ্দেশে বলেছেন, তাঁদের হাতে ছেড়ে দিলে তাঁরা ২০০ টাকা করে খাবেন। সব শেষে গত মঙ্গলবার নজরুল মঞ্চে দলীয় বৈঠকে ‘কাটমানি’ ফেরতের নির্দেশ দেন মমতা। তার পরেই তৃণমূলের অন্দরে গুঞ্জন শুরু হয়— মৌচাকে ঢিল মেরেছেন দলনেত্রী। বহু নেতাই জনান্তিকে বলেন, এর ফলে জনসমক্ষে দলের ভাবমূর্তির ক্ষতি হচ্ছে। দলেও অবিশ্বাস বাড়ছে।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার মমতার নাম করে বিবৃতি দিয়ে তৃণমূলের প্রায় ১০০%কে ‘সৎ’ বলার পাশাপাশি পার্থবাবু আরও জানান, বিভিন্ন পঞ্চায়েত এবং পুরসভার অল্প কয়েক জন সদস্য নিজেদের ‘অপরাধ’ ঢাকার জন্য বিজেপির আশ্রয়ে গিয়েছেন। কিন্তু ‘অপরাধী’দের কিছুতেই ছাড়া হবে না। কাটমানি ফেরতের নির্দেশ সম্পর্কে প্রচারমাধ্যম অপব্যাখ্যা করেছে বলেও পার্থবাবুর অভিযোগ।
এ দিন মমতার নাম করে পার্থবাবুর দেওয়া শতাংশের হিসেবকে বিরোধীরা অবশ্য ‘ড্যামেজ কন্ট্রোল’-এর চেষ্টা বলে মনে করছে। বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের বক্তব্য, ‘‘কাটমানি ফেরত চাইতে কালীঘাটে মুখ্যমন্ত্রীর বাড়ির সামনেই ধর্না হওয়া উচিত। লোকে সেটা করতে পারে— এই ভয়েই মুখ্যমন্ত্রী এখন ৯৯.৯৯%-এর সততার তত্ত্ব দিচ্ছেন।’’
বাম পরিষদীয় নেতা সুজন চক্রবর্তী বলেন, ‘‘বোতল থেকে বেরিয়ে পড়ার পর দৈত্যকে আর সেখানে ফেরানো যায় না। এখনকার কথাটাই যদি ঠিক বলে ধরে নিই, তা হলে তো শাসক দলে অন্যায়কারী মাত্র ০.০১%। তা হলে সেই কয়েক জনের নাম জানিয়ে দিন!’’
এবার শুধু খবর পড়া নয়, খবর দেখাও।সাবস্ক্রাইব করুনআমাদেরYouTube Channel - এ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy