বিজেপি ছেডে় তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলা বিজেপি-র সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা। যোগদানপর্বে ছিলেন সুখেন্দুশেখর রায়, মুকুল রায় ও ব্রাত্য বসু। নিজস্ব চিত্র।
তৃণমূলে যোগ দিলেন আলিপুরদুয়ার জেলার বিজেপি সভাপতি গঙ্গাপ্রসাদ শর্মা সহ তাঁর অনুগামীরা। সোমবার তৃণমূল ভবনে সুখেন্দুশেখর রায়, মুকুল রায়, ব্রাত্য বসু ও আলিপুরদুয়ার তৃণমূলের সভাপতি মৃদুল গোস্বামীর উপস্থিতিতে তাঁদের হাতে তৃণমূলের পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানানো হয়। যোগদানের পর তৃণমূলের রাজ্যসভার দলনেতা বলেন, ‘‘বিজেপি-র উত্তরবঙ্গের ৮ জন নেতা আমাদের দলে যোগদানের জন্য আবেদন করেছিলেন। দল সিদ্ধান্ত নিয়েছে, তাঁদের দলে শামিল করা হবে। তাই তাঁদের দলে নেওয়া হল।’’ জেলা বিজেপি-র সাধারণ সম্পাদক বীরেন্দ্র বারা, সম্পাদক বিনোদ মিঞ্জ ও অসীমকুমার লামা, সহ-সভাপতি বিপ্লব সরকার, কুমাগ্রাম ব্লকের সভাপতি নিশান লামা, কালচিনি বিধানসভার আহ্বায়ক কৃপাশঙ্কর জয়সওয়াল ও সহ-আহ্বায়ক ঈশ্বরকুমার বিশ্বকর্মা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে এলেন।
দলত্যাগী বিজেপি নেতা গঙ্গাপ্রসাদ বলেন, ‘‘আমার দল ছাড়ার পৃষ্ঠভূমি ভোটের আগেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল। যখন বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব জেলা নেতৃত্বের মতামতকে উপেক্ষা করে কলকাতায় এনে যোগদানপর্ব করিয়েছে্ন। দিল্লিতে নিয়ে গিয়েও যোগদান করিয়েছেন। কিন্তু জেলার নেতাদের জানানোর প্রয়োজনটুকুও বোধ করে্ননি। তখন থেকেই দলের সঙ্গে আমাদের দূরত্ব তৈরি হয়েছিল।’’ তিনি আরও বলেন, ‘‘আমি তার প্রতিবাদ করেছিলাম। সেই সময় দল ছাড়লে আমাকে 'গদ্দার' বলা হত। আমি ভাল ফল করেছি, ৫-এ-৫ পার্টিকে দিয়েছি। আর সেই সময়ই মৃদুলদার সঙ্গে যোগাযোগে ছিলাম। তখন থেকেই আমাদের মন ভেঙে গিয়েছিল। আজ তাই আমরা এই জায়গায়।’’
বিজেপি-র আলিপুরদুয়ারের সাংসদ জন বার্লার উত্তরবঙ্গকে কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল ঘোষণা করার মন্তব্য নিয়েও মুখ খুলেছেন এই দলত্যাগী নেতা। তিনি বলেছেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভাল ফল করেছে। আর সাংসদ তো ২ বছর হল কিছুই করতে পারেননি। মানুষের ভাবাবেগকে উস্কে দিয়ে রাজনীতি করার কাজ করেছেন। বিজেপি-র কাছে উত্তরবঙ্গে অনেক কিছু করার সুযোগ রয়েছে। কিন্তু কিছু কাজ না করে এখন শুধু উস্কানি দিয়ে যাচ্ছেন।’’ সদ্য বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে ফিরে আসা মুকুল রায় সংবাদমাধ্যমের প্রশ্নের উত্তরে বলেন, ‘‘উত্তরবঙ্গে বিজেপি ভাল ফল করেছিল। কিন্তু এখন সংগঠনেই ভাঙন ধরছে। তাই আমি বলব, এটা শেষের শুরু।’’ প্রসঙ্গত আলিপুদুয়ারই একমাত্র জেলা, যেখানকার ৫টি আসনের একটিতেও জয় পায়নি শাসক দল। সব ক'টি আসনই গিয়েছে বিজেপি-র পক্ষে। তা সত্ত্বেও বিজেপি জেলা সভাপতির পদত্যাগ সংগঠনের কাছে বড় ধাক্কা বলেই মনে করছেন রাজনীতির কারবারিরা।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy