গ্রামে সামাজিক পরিকাঠামো বাড়াতে প্রথম মেয়াদে অগ্রাধিকারের তালিকার শুরুতেই ছিল সড়ক নির্মাণ। দ্বিতীয় মেয়াদে সেই স্থানে উঠে এলো জল। গ্রামের মানুষকে মাথাপিছু দিনে ৭০ লিটার পরিস্রুত জল দেওয়ার অঙ্গীকার করল তৃণমূল সরকার।
পঞ্চায়েত ও জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগের বাজেট নিয়ে বৃহস্পতিবার বিতর্ক ছিল বিধানসভায়। তারই জবাবি বক্তৃতায় সংশ্লিষ্ট দফতরের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায় এ দিন বলেন, ‘‘মুখ্যমন্ত্রীরই নির্দেশ, কলকাতার মতো পরিস্রুত জল পৌঁছে দিতে হবে গ্রামে গ্রামে। চার বছরের মধ্যে সেই লক্ষ্যে পৌঁছনোর চেষ্টা করবে সরকার। সরকারের ‘ভিশন’ হল ২০২০ সালের মধ্যে গ্রামে প্রতি দিন মাথা পিছু ৭০ লিটার পরিস্রুত জলের ব্যবস্থা করা।’’ মন্ত্রী আরও জানান, সরকারের সেই প্রকল্পের আওতাতেই গ্রামে আর্সেনিক সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করবে সরকার।
গত পাঁচ বছরে গ্রামে সামাজিক পরিকাঠামো নির্মাণের যে কাজ হয়েছে, পর্যবেক্ষকদের মতে, সেটাই এ বার ভোটে তৃণমূলকে বাড়তি ফায়দা দিয়েছে। সুব্রতবাবু এ দিন বুঝিয়ে দেন, উন্নয়নের সেই ধারা অব্যাহত থাকবে। তাঁর কথায়, ‘‘গ্রামে রাস্তা তৈরির কাজে সর্বকালীন রেকর্ড করেছে সরকার। দশ কিলোমিটার রাস্তা তৈরি হয়েছে। আরও পাঁচ হাজার কিলোমিটার রাস্তার জন্য অনুমোদন রয়েছে। তা ছাড়া ইন্দিরা আবাস যোজনাতেও এ বার বাড়তি গুরুত্ব দেবে সরকার।’’
এ বার রাজ্য বাজেটে সব থেকে বেশি বরাদ্দ হয়েছে পঞ্চায়েত এবং জনস্বাস্থ্য কারিগরী দফতরে। গ্রামে তৃণমূলের জনভিত্তি আরও মজবুত করতে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও সরকারের আশঙ্কা, পঞ্চায়েত স্তরে দুর্নীতি। সেটা মাথায় রেখে বুধবারই উত্তরবঙ্গের উত্তরকন্যায় প্রশাসনিক বৈঠকে দুর্নীতি বন্ধে কড়া বার্তা দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী।
বাজেট-বিতর্কেও বিরোধীরা পঞ্চায়েতে দুর্নীতির অভিযোগ তোলেন। সুব্রতবাবু বলেন, ‘‘ফাঁক ফোকরগুলো সব নির্মূল করা হয়েছে বলব না। তবে অনেকটাই বন্ধ করতে পেরেছি। আরও বন্ধ করতে হবে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy