Advertisement
২৩ ডিসেম্বর ২০২৪
BJP

West Bengal BJP: বৈঠকে গরহাজির হিরণ, সঙ্গে আরও পাঁচ, বিধায়ক সংখ্যা আরও কমার চিন্তা রাজ্য বিজেপি-তে

রাজ্যে বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে নেমে এখন ৭১। কৃষ্ণর পরে হিরণও বিজেপি ছাড়লে বিধানসভায় ৬৯-এ নেমে যাবে গেরুয়া শিবির।

হিরণ এবং শুভেন্দু।

হিরণ এবং শুভেন্দু। ফাইল চিত্র।

নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ অক্টোবর ২০২১ ০০:০৩
Share: Save:

সদ্যই বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে গিয়েছেন আসানসোলের সাংসদ তথা প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সেই সঙ্গে রাজ্যে ক্রমেই বিধায়ক সংখ্যা কমছে বিজেপি-র। শুক্রবারই রায়গঞ্জের বিধায়ক কৃষ্ণ কল্যাণী দলবদলের কথা জানিয়েছেন। তবে এখনও বিজেপি ছাড়েননি। তবে বিধানসভা নির্বাচনে ৭৭টি আসনে জেতা বিজেপি ইতিমধ্যেই নেমে দাঁড়িয়েছে ৭১-এ। এখন আশঙ্কা, অদূর ভবিষ্যতে না ছয়ের ঘরে চলে যায় বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা। তা হলে রাজ্যসভা ভোট নিয়ে সমস্যায় পড়বে দল। সেই আশঙ্কা যেন আরও বেড়ে গেল শুক্রবার। কৃষ্ণর দূরত্ব বাড়ানোর ঘোষণার দিনেই পরিষদীয় বৈঠকে গরহাজির ছয় বিধায়ক। তাঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য খড়্গপুর সদরের বিধায়ক অভিনেতা হিরণ চট্টোপাধ্যায়। তাঁকে নিয়ে গেরুয়া শিবিরের চিন্তার বড় কারণ হচ্ছে তিনি এক সময়ে তৃণমূলের সক্রিয় ছিলেন। বিজেপি-তে যোগ দিয়েই প্রার্থী হন এবং ভোটে জেতেন।

সদ্যই রাজ্য বিজেপি-র সভাপতি হয়েছেন বালুরঘাটের সাংসদ সুকান্ত মজুমদার। শুক্রবার বিধায়কদের সঙ্গে তিনি বৈঠকে বসেন। সেই বৈঠকে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী তো বটেই, ছিলেন প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষও। সেখানে হিরণের অনুপস্থিতি নিয়ে জল্পনার পিছনে আরও কারণ রয়েছে। কারণ, এক সময় খড়্গপুর সদরের বিধায়ক থাকা মেদিনীপুরের সাংসদ দিলীপের সঙ্গে হিরণের সম্পর্ক ইদানীং ভাল নয় বলেই বিজেপি-র অন্দরের খবর। তবে কি তিনি দলবদল করতে পারেন। এই প্রসঙ্গে বিধানসভায় বিজেপি-র মুখ্যসচেতক মনোজ টিগ্গা বলেন, "হিরণকে নিয়ে এমন জল্পনার কোনও কারণ নেই। চিকিৎসার জন্য তিনি এখন দক্ষিণ ভারতে গিয়েছেন। সেটা দল জানে। পরিষদীয় দলকেও তিনি সেটা জানিয়েছেন।"

শুক্রবারের বৈঠকে ছিলেন না আসানসোল দক্ষিণের বিধায়ক অগ্নিমিত্রা পাল, ইংরেজবাজারের শ্রীরূপা মিত্র চৌধুরী, দার্জিলিংয়ের নীরজ জিম্বা, কোচবিহার উত্তরের সুকুমার রায়, সোনামুখীর ‌দিবাকর ঘরামি। মোট ছ‍'জন। এর মধ্যে ধরা হয়নি শুক্রবারই বিজেপি ছাড়ার কথা বলা কৃষ্ণ কল্যাণীকে৷ বাকিদের নিয়ে কি চিন্তিত বিজেপি? মনোজ বলেন, "এঁদের কাউকে নিয়েই চিন্তার কোনও কারণ নেই। শুক্রবার নতুন রাজ্য সভাপতিকে সংবর্ধনা দেওয়া হয় দলের পক্ষে। সেই ব্যবস্থাপনার দায়িত্বে ছিলেন অগ্নিমিত্রা। বাকিরাও শারীরিক অসুস্থতার কথা আগেই জানিয়ে বৈঠকে আসেননি।" কৃষ্ণ কল্যাণী প্রসঙ্গে অবশ্য কিছু বলেননি মনোজ। তবে আগেই শুভেন্দু সংবাদমাধ্যমকে বলেন, "উনি ইস্তফা দিন। রায়গঞ্জের মানুষ আবার ভোট দিক।"

রাজ্য বিজেপি-র হিসেব অনুযায়ী বাংলা‌ থেকে রাজ্যসভায় দু’জন সাংসদ পাঠাতে গেলে কমপক্ষে ৬৯ জন বিধায়ক সঙ্গে থাকা দরকার। কিন্তু যে ভাবে বিজেপি-র বিধায়করা লাইন দিয়ে শাসক তৃণমূলে যেতে (বা, ফিরতে) শুরু করেছেন, তাতে সেই সংখ্যা থাকা নিয়েও সংশয় তৈরি হয়েছে পদ্মশিবিরে। শুরু হয়েছিল মুকুল রায়কে দিয়ে। ফল ঘোষণার পর এক মাস কাটতে না কাটতেই শুরু হয়েছিল জল্পনা। যা সত্যি প্রমাণ করে গত ১১ জুন পুত্র শুভ্রাংশু রায়কে নিয়ে তৃণমূলে ফেরেন মুকুল। এর পরে একে একে আরও তিন বিধায়ক বিষ্ণুপুরের তন্ময় ঘোষ, বাগদার বিশ্বজিৎ দাস আর কালিয়াগঞ্জের সৌমেন রায় বিজেপি ছেড়ে তৃণমুলে গিয়েছেন। আগেই সাংসদ পদ ধরে রাখতে বিধায়ক পদ ছাড়েন জগন্নাথ সরকার ও এখন মন্ত্রী নিশীথ প্রামাণিক। আর তাতেই বিজেপি-র বিধায়ক সংখ্যা ৭৭ থেকে নেমে এখন ৭১। কৃষ্ণর পরে হিরণও বিজেপি ছাড়লে বিধানসভায় ৬৯-এ নেমে যাবে গেরুয়া শিবির।

অন্য বিষয়গুলি:

BJP Suvendu Adhikari Hiran Chatterjee
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy