আর্জি: জাপানের জাহাজ থেকে বিনয়কুমার সরকার। ছবি: সোশ্যাল মিডিয়ার সৌজন্যে
করোনা-আতঙ্কে ভারতের ১৬০ জন কর্মী-সহ মাঝসমুদ্রে আটকে থাকা জাহাজে নতুন করে ৬ জনের দেহে মিলল মারণ ভাইরাসের চিহ্ন। ওই জাহাজের কেবিন কর্মী, উত্তর দিনাজপুরের চাকুলিয়ার বিনয়কুমার সরকার রবিবার ফোনে সে কথা জানিয়েছেন।
বিনয় জানান, সেই কারণে এ দিন টোকিয়োর কাছে একটি বন্দরে জাহাজটি নিয়ে আসা হয়েছে। সংক্রমিত ছ’জনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বিনয় বলেন, ‘‘এখনই আমাদের জাহাজ থেকে নামানো হবে বলে মনে হচ্ছে না। যে ভাবে প্রতি দিন আক্রান্তের সংখ্যা বাড়ছে তাতে সবাই ভয়ে রয়েছি।’’ তিনি জানান, জাহাজে এখনও আটকে ছ’জন বাঙালি। তাঁদের মধ্যে দার্জিলিংয়ের এক তরুণী রয়েছেন। বহরমপুর, রানাঘাট এবং উত্তর ২৪ পরগনার এক জন করে বাসিন্দাও আছেন। বিনয়ের কথায়, ‘‘আমরা সবাই দ্রুত দেশে ফিরতে চাই।’’ ছেলের বাড়ি ফেরার অপেক্ষায় রয়েছেন বিনয়ের মা চন্দ্রা-সহ গোটা পরিবার।
বিনয়-সহ অন্য ভারতীয়দের নিরাপদে দেশে ফেরানোর বিষয়ে বিদেশ মন্ত্রক তৎপর বলে জানিয়েছেন রায়গঞ্জের সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী।
জাপানের একটি সংস্থার ওই জাহাজে কর্মরত বিনয় জানিয়েছেন, তাঁর দেশে ফেরার কথা ছিল ১৭ ফেব্রুয়ারি। টিকিটও কাটা হয়ে গিয়েছিল। কিন্তু এখন কবে ফিরতে পারবেন, তার উত্তর এখনও জানেন না।
তিনি জানিয়েছেন, ২০ জানুয়ারি জাপানের ইয়োকোহামা থেকে জাহাজটি রওনা দেয়। চিনের বন্দরে নোঙর ফেলেছিল সেটি। পরে মাঝসমুদ্রে খবর মেলে, এক যাত্রীর দেহে করোনাভাইরাসের চিহ্ন মিলেছে। ২ ফেব্রুয়ারি জাপান সরকারের নির্দেশে টোকিয়োয় ফেরে ওই জাহাজ। তার পর থেকে জাহাজে আক্রান্তের সংখ্যা বাড়তে থাকে। বিনয় জানিয়েছেন, জাহাজে আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭১ জন।
গোয়ালপোখরের বিধায়ক তথা মন্ত্রী গোলাম রব্বানি বলেন, ‘‘আমরা ওই পরিবারের পাশে রয়েছি। নিয়মিত তাঁদের খোঁজ নেওয়া হচ্ছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy