সুজয় বন্দ্যোপাধ্যায়। —নিজস্ব চিত্র।
প্রশ্ন: পরিস্রুত পানীয় জল কতটা অংশে পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে?
উত্তর: পুরুলিয়া জেলার সঙ্গে খরাপ্রবণ তকমা সেঁটে রয়েছে। তবে জেলার ৪০ শতাংশ মানুষের কাছে নলবাহিত পানীয় জল পৌঁছে দেওয়া গিয়েছে। যেখানে সেই পরিকাঠামো হয়নি, সেখানে গাড়িতে জল পৌঁছনো হচ্ছে।
প্রশ্ন: এত প্রকল্পের পরেও ‘দিদির দূতদের’ কেন বিক্ষোভে পড়তে হয়েছে?
উত্তর: কিছু ক্ষেত্রে আবেদন খতিয়ে দেখে পরিষেবা পৌঁছনোর কাজে গাফিলতি রয়েছে। বিষয়টি প্রশাসনের নজরেও রয়েছে। যেমন, অসংরক্ষিতদের একাংশের বার্ধক্য ভাতা ও বিধবা ভাতার আবেদন আটকে রয়েছে। পরিষেবা নিয়ে অভাব-অভিযোগ জানতেই দিদির দূতেদের পাঠানো হয়েছিল। মানুষের বক্তব্য, তা ক্ষোভের আকারেই হোক বা অন্য ভাবে, জানাই ছিল মুখ্য উদ্দেশ্য।
প্রশ্ন: জেলার বহু রাস্তা এখনও কাঁচা কেন?
উত্তর: জেলায় বড়জোর ৫-৬ শতাংশ রাস্তা কাঁচা। গত পাঁচ বছরে জেলা পরিষদ কোন ক্ষেত্রে কী কাজ করেছে, তা নিয়ে শ্বেতপত্র প্রকাশ করব।
প্রশ্ন: আপনার দলের অনেক নেতাই দুর্নীতির অভিযোগে জেলে। মানুষকে কী জবাব দেবেন?
উত্তর: রাজনৈতিক কারণে আমাদের নেতাদের জেলে পাঠানো হয়েছে। বিনা বিচারে বছরের পর বছর জেলে আটকে রাখা হচ্ছে। মানুষ সব বুঝছেন।
প্রশ্ন: পর্যটনের উন্নয়নে জেলা পরিষদ কতটা ভূমিকা নিয়েছে?
উত্তর: রুক্ষ-শুষ্ক এই জেলার বিস্তীর্ণ এলাকায় ১০০ দিনের কাজের প্রকল্পে ‘মাটির সৃষ্টি’ প্রকল্পে বহু কাজ হয়েছে। প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের কারণে সেই কাজকে ঘিরে পর্যটনের সম্ভাবনা তৈরি হয়েছিল। কিন্তু একশো দিনের কাজে দু’বছর ধরে টাকা বন্ধ করেছে কেন্দ্র। যে জায়গা সবুজ হয়েছিল, সেখানে জল দেওয়ার লোক নেই।
প্রশ্ন: একশো দিনের কাজের প্রকল্প নিয়ে বিরোধীরা দুর্নীতির অভিযোগে আপনাদের বিঁধছেন।
উত্তর: দুর্নীতি হলে সিবিআই দোষীকে খুঁজে বা র করুক। কিন্তু দরিদ্র মানুষের হকের মজুরি কেন আটকে রাখা হবে? কেন্দ্রীয় দল একাধিক বার জেলায় এসে সব খতিয়ে দেখেছেন। তাঁদের চোখে তো দুর্নীতি ধরা পড়েনি!
প্রশ্ন: কাজের দরপত্রে কাটমানি নিয়ে বিভিন্ন সময়ে অভিযোগ ওঠে। যার জেরে অনেক সময় কাজের মান নিয়েও প্রশ্ন ওঠে।
উত্তর: এ রকম অভিযোগ আমার কাছে আসেনি। দরপত্রে বেঁধে দেওয়া মূল্যের ২০-২৫ শতাংশ কমে ঠিকা সংস্থাগুলি কাজ করে। এত কমে কাজ করে ঠিকা সংস্থা কাটমানি দেবে?
প্রশ্ন: কোন কাজ করা গেল না বলে আফসোস রয়ে গেল?
উত্তর: গ্রামীণ স্বাস্থ্য পরিষেবার ক্ষেত্রে কিছু কাজ বাকি রইল। চাহিদা অনুযায়ী চিকিৎসক পাওয়া যায়নি।
সাক্ষাৎকার: প্রশান্ত পাল
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy