গ্রাফিক: শৌভিক দেবনাথ।
রাজ্যের চার প্রান্তে চারটি আসনে শনিবার উপনির্বাচন। কোচবিহারের দিনহাটা, নদিয়ার শান্তিপুর, উত্তর ২৪ পরগনার খড়দহ এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার গোসাবা। গত বিধানসভা নির্বাচনের ফল অনুযায়ী দিনহাটা, শান্তিপুর বিজেপি জেতা আসন। অন্য দিকে, খড়দহ ও গোসাবা ছিল শাসক তৃণমূলের দখলে। বড় শক্তি নিয়ে রাজ্যে তৃতীয় বার তৃণমূল ক্ষমতায় থাকলেও পাঁচটি কারণে এই উপনির্বাচন ঘাসফুল বাহিনীর কাছে গুরুত্বপূর্ণ বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।
১। ছ’মাস আগেই রাজ্যে ঝড় দেখিয়েছে তৃণমূল। জোড়াফুলের পক্ষে সে হাওয়া যে এখনও বজায় রয়েছে তা প্রমাণ করতে হবে এই উপনির্বাচনে। দিনহাটা ও শান্তিপুর আসনে জয় পেলে বুঝিয়ে দেওয়া যাবে রাজবংশী বা মতুয়া ভোটের একচেটিয়া অধিকারী নয় বিজেপি।
২। যে চারটি আসনে ভোটগ্রহণ হচ্ছে তার মধ্যে দু’টিতে আগেই জিতেছে তৃণমূল। সে দু’টিতে জয়ের ব্যবধান বাড়ানোর পাশাপাশি বাকি দু’টি আসনও বিজেপি-র থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার চ্যালেঞ্জ রয়েছে তৃণমূলের সামনে।
৩। দুই বিধায়ক কাজল সিংহ এবং জয়ন্ত নস্করের মৃত্যু হয়েছে। সেই দুই কেন্দ্র খড়দহ ও গোসাবায় শুধু জয় নয়, ব্যবধান বাড়াতে হবে শাসক দলকে। কারণ, গত বিধানসভায় ওই দুই আসনে যথাক্রমে ২৮ হাজার ১৪০ এবং ২৩ হাজার ৭০৯ ভোটের ব্যবধানে জিতেছিল তৃণমূল। এ বার সেখানে ব্যবধান বাড়ানোর লড়াই।
৪। ভোটে ভরাডুবির পরে রাজ্যের প্রধান বিরোধী দল বিজেপি কার্যত ছন্নছাড়া। ফল ঘোষণার পরে ছ’মাস কেটে গেলেও যেন বিপর্যয় থেকে বেরিয়ে আসতে পারেনি গেরুয়া শিবির। উপনির্বাচনে চার-শূন্য ফলে তৃণমূল জিততে পারলে বিজেপি-কে আরও বেশি করে ধাক্কা দেওয়া যাবে।
৫। ভোটে বিপর্যস্ত বিজেপি-তে ভাঙনের ধারা অব্যাহত। ইতিমধ্যেই পাঁচ বিজেপি বিধায়ক তৃণমূলে এসেছেন। এই উপনির্বাচনে শক্তিবৃদ্ধি করতে পারলে আরও বিজেপি বিধায়ক টানার শক্তিও পাবে শাসক তৃণমূল।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy