গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।
চাকরি পেলেও মানসিক চিন্তায় রয়েছি। টেট সার্টিফিকেট দেওয়া হোক। প্রাথমিকের টেট সার্টিফিকেট চেয়ে কলকাতা হাই কোর্টের দ্বারস্থ কয়েকশো শিক্ষক। তাঁদের বক্তব্য, শিক্ষকতার চাকরি করলেও প্রাথমিক দুর্নীতির মামলার ভবিষ্যৎ নিয়ে আশঙ্কা রয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য অনেককে সিবিআই ডেকে পাঠাচ্ছে। প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদ টেট সার্টিফিকেট না দেওয়ার কারণে তা দেখানো যাচ্ছে না। এ বার ওই সার্টিফিকেট দেওয়া হোক। পর্ষদ ওই দাবি মেনে না নেওয়ায় শিক্ষকেরা মামলা দায়ের করেছেন। পুজোর ছুটির পরে আদালত খুললে মামলাটি শুনবেন বিচারপতি অমৃতা সিংহ।
২০১৪ সালের প্রাথমিকের টেট হয়। প্রায় ২০ লক্ষ চাকরিপ্রার্থী ওই টেট দেন। ওই পরীক্ষায় কৃতিদের নাম জানায় পর্ষদ। চাকরিপ্রার্থীদের অভিযোগ, পর্ষদের পক্ষ থেকে কোনও সার্টিফিকেট দেওয়া হয়নি। কে, কত নম্বর পেয়েছেন তাও জানানো হয়নি। তা সত্ত্বেও ওই টেট থেকে প্রথম দফায় ৪২ হাজার এবং পরে আরও কয়েক হাজার চাকরি দেওয়া হয়। ২০১৯ সালে প্রাথমিক স্কুলে শিক্ষক নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে হাই কোর্টে মামলা দায়ের হয়। ২০২২ সালে আদালত সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেয়। দুর্নীতির অভিযোগে গ্রেফতার হন পর্ষদের তৎকালীন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্য।
ওই নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় তদন্ত চলাকালীন টেট সার্টিফিকেট চেয়ে অনেক চাকরিপ্রার্থী হাই কোর্টে মামলা দায়ের করেন। হাই কোর্টের তৎকালীন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় টেট উত্তীর্ণদের তালিকা প্রকাশ করতে নির্দেশ দেয় পর্ষদকে। তখনকার মামলাকারীদের অধিকাংশই ছিলেন চাকরিপ্রার্থী। তাঁরা চাকরি না পেয়ে সার্টিফিকেট চান। এ বার বিদ্যুৎ মালাকার-সহ ৩০৬ জন শিক্ষক আদালতের দ্বারস্থ হয়েছেন। তাঁদের বক্তব্য, চাকরি দেওয়ার সময় পর্ষদ টেট উত্তীর্ণ বলে জানিয়েছিল। তবে তারা কোনও সার্টিফিকেট দেয়নি। এখন ওই নিয়োগপ্রক্রিয়া তদন্তের আতসকাচের তলায় রয়েছে। ফলে চাকরি নিয়ে অনিশ্চয়তা তৈরি হয়েছে। টেট সার্টিফিকেট না থাকলে চাকরি যাওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। শিক্ষকদের দাবি, বিষয়টি নিয়ে পর্ষদ এবং শিক্ষা দফতরের বার বার জানানো হয়েছে। তারা কোনও পদক্ষেপ করেনি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy