টোনা মুন্সিপাড়ায় উত্তেজনা থাকায় মোতায়েন পুলিশ। ছবি: সামসুল হুদা
আশঙ্কা ছিলই। ঘটলও তা-ই। পঞ্চায়েতের বোর্ড গঠনকে কেন্দ্র করে তৃণমূল ও জমি কমিটির সংঘর্ষে জখম হলেন ৩ জন। মারধরের ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে তৃণমূল নেতা আরাবুল ইসলাম ঘনিষ্ঠ বাবুসোনা মোল্লা-সহ দলের তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের নির্দেশে বুধবার ভাঙড় ২ ব্লকের পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের স্থায়ী সমিতি গঠন হয়। তৃণমূলের ১১ জন সদস্যের সমর্থনে সবিতা সর্দার পঞ্চায়েতের প্রধান এবং আরাবুল-পুত্র হাকিমুল ইসলাম উপপ্রধান নির্বাচিত হয়েছেন। পোলেরহাট ২ পঞ্চায়েতের ১৬টি আসনের মধ্যে তৃণমূল বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ৮টি আসনে জয়ী হয়েছিল। বাকি আটটি আসনে ভোটে জমি কমিটি সমর্থিত নির্দল প্রার্থীরা পান ৫টি আসন। ৩টি আসনে জয়ী হয়েছিল তৃণমূল।
নানা কারণে বার বারই বোর্ড গঠন পিছিয়ে গিয়েছে পঞ্চায়েতে। শেষমেশ বিষয়টি গড়ায় হাইকোর্টে। আদালতের নির্দেশে বুধবার বোর্ড গঠনের সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে এ দিন পঞ্চায়েত কার্যালয়ে উপস্থিত ছিলেন পুলিশের এডিজি (আইন-শৃঙ্খলা) সঞ্জয় সিংহ, বারুইপুর জেলা পুলিশ সুপার রশিদ মুনির খান-সহ প্রায় সাড়ে সাতশো পুলিশ কর্মী। জেলা প্রশাসনের তরফে ছিলেন অতিরিক্ত জেলাশাসক (জেলা পরিষদ) তনবির আফজল। জমি কমিটি চেয়েছিল, তৃণমূল সদস্য তৃপ্তি বিশ্বাসকে প্রধান করা হোক। সে ক্ষেত্রে হাকিমুলকে উপপ্রধান হিসাবে মেনে নিতে আপত্তি ছিল না তাঁদের। কিন্তু তৃপ্তির নাম প্রস্তাবই করা হয়নি। তৃপ্তি নিজেও প্রধান হতে চাননি। যা নিয়ে ক্ষুব্ধ জমি কমিটি। তাদের অভিযোগ, তৃপ্তির স্বামীকে গৃহবন্দি করে তাঁর উপরে চাপ তৈরি করা হয়েছিল।
জমি কমিটির মুখপাত্র অলীক চক্রবর্তী বলেন, ‘‘প্রশাসনিক বৈঠকে সর্বসম্মত ভাবে ঠিক হয়েছিল, তৃপ্তিকে প্রধান করা হবে। সে ক্ষেত্রে আমরা হাকিমুলকে উপপ্রধান হিসেবে মেনে নিয়েছিলাম। কিন্তু ওঁরা ওই সিদ্ধান্তকে মান্যতা না দিয়ে একতরফা প্রধান-উপপ্রধান নির্বাচন করলেন। আমরা এই পঞ্চায়েত বোর্ড মানি না।’’
এ দিন হাকিমুলের পাল্টা ইসরাফিল মোল্লাকে উপপ্রধান পদে দাঁড় করিয়ে দেয় জমি কমিটি। ভোটাভুটিতে হাকিমুল পান ১১টি ভোট। ইসরাফিল পান ৫টি। বোর্ড গঠনের খবর ছড়িয়ে পড়তেই এলাকায় উত্তেজনা দেখা দেয়। টোনা মুন্সিপাড়ায় জমি কমিটির কিছু সমর্থক অলীককে ঘিরে ধরে ক্ষোভ প্রকাশ করতে থাকেন। টোনা, পীরনগর-সহ বেশ কিছু জায়গায় জমি কমিটির সঙ্গে তৃণমূলের গন্ডগোল বেধে যায়। তৃণমূলের মারে পীরনগরে জমি কমিটির তিন জন জখম হন বলে অভিযোগ। পুলিশ সকলকে জিরেনগাছা ব্লক হাসপাতালে নিয়ে যায়। পরে গ্রেফতার করা হয় তিন তৃণমূল কর্মীকে। আরাবুলের দাবি, মারপিটের ঘটনায় তাঁর দলের কেউ যুক্ত নন। তাঁর কথায়, ‘‘জমি কমিটির লোকজনই আমাদের উপরে হামলা চালিয়েছে। সন্ধের দিকে তৃপ্তির দোকানেও ভাঙচুর চালায় ওরা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy