Advertisement
২২ নভেম্বর ২০২৪

শব্দবাজির প্রতিবাদ করায় আক্রান্ত তিন

মান্নাপাড়ারই কালীপুজোর বিসর্জনকে ঘিরে ওই কাণ্ড। সিঞ্চনদের বাড়ি রাস্তার ধারে। ওই বাড়ির সংস্কারকাজের জন্য ভিতরে তক্তা মজুত রয়েছে।

প্রতীকী ছবি।

প্রতীকী ছবি।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শ্যামপুর শেষ আপডেট: ০৩ নভেম্বর ২০১৯ ০৪:০৫
Share: Save:

কালীপুজোর বিসর্জনে শব্দবাজির প্রতিবাদ করায় শুক্রবার রাতে আক্রান্ত হলেন হাওড়ার শ্যামপুরের মান্নাপাড়ার এক যুবক এবং তাঁর বৃদ্ধ বাবা-মা। অভিযোগ জানানো সত্ত্বেও শনিবার বিকেল পর্যন্ত থানা কোনও ব্যবস্থা নেয়নি বলে সিঞ্চন পাঁজা নামে ওই যুবকের অভিযোগ। পুলিশের সক্রিয়তা নিয়ে সংশয় প্রকাশ করেছে একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থাও। শ্যামপুর থানার এক কর্তা অবশ্য দাবি করেছেন, পুলিশ গ্রামে গিয়ে তদন্ত করছে। কয়েক জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে।

মান্নাপাড়ারই কালীপুজোর বিসর্জনকে ঘিরে ওই কাণ্ড। সিঞ্চনদের বাড়ি রাস্তার ধারে। ওই বাড়ির সংস্কারকাজের জন্য ভিতরে তক্তা মজুত রয়েছে। বিসর্জনে দেদার চকলেট বোমা ফাটানো হচ্ছিল। তা থেকে দুর্ঘটনার আশঙ্কায় সিঞ্চন আপত্তি জানান। তাঁর কথায়, ‘‘বারণ করা সত্ত্বেও ওরা বাড়ির দরজার সামনে বাজি ফাটাতে শুরু করে। আমরা তিন জনেই বাইরে বেরিয়ে প্রতিবাদ করি। ওরা আমাদের উপরে চড়াও হয়। এক জন আমার পেটে লাথি মারে। বৃদ্ধ বাবাকে মারধর করে। মায়ের চুল ধরে টেনে রাস্তার ফেলে চড়-কিল মারে। মাকে স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নিয়ে যেতে হয়।’’ অভিযুক্তদের মধ্যে অন্যতম পুজোর উদ্যোক্তা গোবিন্দ মান্না। অভিযোগ উড়িয়ে তিনি দাবি করেন, ‘‘বড়রা শব্দবাজি ফাটায়নি। এটা ছোটদের কাণ্ড। কিন্তু তাকে কেন্দ্র করেই বড়রা মারপিটে জড়িয়ে পড়েন।’’

ঘটনার সময় থানার ফোন নম্বর তাঁর কাছে ছিল না বলে সিঞ্চন জানান। তিনি একটি স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার কন্ট্রোল-রুমে ফোন করেন। পরে থানায় যান। তাঁর অভিযোগ, ‘‘এর পরেও পুলিশ কিছু করেনি। এমনকি, ঘটনার সময়ে কাছেই তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষ্মীকান্ত পাত্র থাকলেও প্রতিবাদ করেননি, হামলায় বাধাও দেননি।’’ লক্ষ্মীকান্তবাবু অবশ্য দাবি করেন, ‘‘বাচ্চা ছেলেরা বাজি ফাটাচ্ছিল। সিঞ্চন তাদের মারধর করেন। পরে বড়রা মারপিটে জড়ান। আমিই ছাড়াই।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Firecrackers Noise Pollution Shyampur
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy