পুলিশের জালে দুই যুবক। নিজস্ব চিত্র
এক যুবককে সাত দিন ধরে আটকে রেখে মারধর করে মুক্তিপণ চাওয়ার অভিযোগ উঠল চারজনের বিরুদ্ধে। শুক্রবার রাতে ওই যুবক কোনও ভাবে অভিযুক্তদের হাত থেকে পালিয়ে আসেন। খবর পেয়ে পুলিশ তাঁকে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার করে সেখানেই ভর্তি করেছে। যুবকের অভিযোগের ভিত্তিতে বাগদা থানার পুলিশ শুক্রবার রাতেই দু’জনকে গ্রেফতার করে। ধৃতদের শনিবার বনগাঁ মহকুমা আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিন পুলিশি হেফাজতে রাখার নির্দেশ দেন।
বনগাঁর এসডিপিও অশেষবিক্রম দস্তিদার বলেন, ‘‘ধৃতদের নাম শাহজাহান মণ্ডল ও সেলিম মণ্ডল। বাকি দুই অভিযুক্ত সাহাদাদ মণ্ডল ও সুজিত রায়ের খোঁজে তল্লাশি চলছে।’’
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, নোয়াপাড়া থানার ইছাপুরে থাকেন সন্দীপেন্দ্র দে সরকার। তাঁর পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, ৭ মার্চ সকালে একটি ফোন পেয়ে তিনি বাড়ি থেকে বেরোন। তারপর থেকে খোঁজ মিলছিল না। পুলিশের কাছে যুবকের মা শিখা জানিয়েছেন, ৮ মার্চ একটি অচেনা নম্বর থেকে তাঁদের কাছে ফোন আসে। কয়েক লক্ষ টাকা দাবি করা হয় ছেলের মুক্তির জন্য।
শুক্রবার অপহৃত যুবক পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে জানিয়েছেন, ৭ মার্চ তিনি বনগাঁয় এসেছিলেন। সেখানে তাঁকে কয়েকজন অপহরণ করে। বাগদার বাগিগ্রামে একটি ঘরে আটকে রাখা হয়। মারধর করে ৪০ লক্ষ টাকা দাবি করা হয়েছিল। টাকা না দিলে মেরে ফেলারও হুমকি দেওয়া হয়। সোনার চেন, আংটি ও দু’টি মোবাইল কেড়ে নেয় অপহরণকারীরা।
বাগদা থানার পুলিশ শুক্রবার রাতে স্থানীয় সূত্রে যুবকের কথা জানতে পেরে তল্লাশিতে নামেন। রাতে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতাল চত্বর থেকে উদ্ধার করা হয় সন্দীপেন্দ্রকে।
তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পেরেছে, সন্দীপেন্দ্রর বিরুদ্ধে ধৃতদের অভিযোগ, তিনি সরকারি চাকরি দেওয়ার নাম করে বাগদার অনেকের কাছ থেকে লক্ষ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছেন। পুলিশের দাবি, ওই যুবক জানিয়েছেন, তিনি সরাসরি টাকা তোলেনি। তাঁর হাতে টাকা জোগাড় করে তুলে দেওয়া হয়, যা তিনি এক ব্যক্তির কাছে পৌঁছে দিয়েছে। পুলিশ গোটা ঘটনাটি খতিয়ে দেখছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy