ধৃত: রবিশঙ্কর গায়েন-নিজস্ব চিত্র
ভাইকে গলা টিপে খুন করে বাংলাদেশে পালানোর সময়ে গ্রেফতার হল এক যুবক। পুলিশ জানিয়েছে, রবিশঙ্কর গায়েন নামে ওই যুবককে শনিবার বিকেলে স্বরূপনগরের আমুদিয়া সীমান্ত থেকে ধরা হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সপ্তাহ দু’য়েক আগে রকি গায়েন (১৪) ও তার জ্যাঠতুতো দাদা রবিশঙ্কর একই সঙ্গে বাড়ি থেকে উধাও হয়ে যায়। রকি বালতি গ্রামে থাকত। নবম শ্রেণিতে পড়ত। পর দিন বাড়ির সামনে সর্ষে খেত থেকে রকির দেহ উদ্ধার হয়। তখনও নিখোঁজ রবিশঙ্কর।
খুনের ঘটনার সঙ্গে রবিশঙ্করের যোগ আছে বলে সন্দেহ হয় পুলিশের। রবিশঙ্করের ভোটার পরিচয়পত্র, আধার কার্ড, প্যান কার্ড, পড়াশোনার যাবতীয় নথিরও খোঁজ মিলছিল না। পুলিশ রবির মোবাইল ট্যাপ করে। জানা যায়, প্রথমে চেন্নাই যায় ওই যুবক। পরে গিয়েছে সেকেন্দ্রাবাদে। পুলিশের এক অফিসার বলেন, ‘‘আমরা বুঝতে পারছিলাম, খুনের ঘটনায় ওই যুবকের হাত আছে। কিন্তু পুলিশের চোখে ধুলো দিতে বার বার ঠিকানা বদলাচ্ছিল রবিশঙ্কর।’’
শনিবার বিকেলে পুলিশ জানতে পারে, ঘটনা থিতিয়ে গিয়েছে মনে করে গ্রামে ফিরেছে রবি। হাতে টাকাও শেষ হয়ে আসছিল। টাকা জোগাড় করে বাংলাদেশে পালানোর ছক কষেছিল সে। স্বরূপনগর থানার পুলিশ সাদা পোশাকে নজর রাখতে শুরু করে। আমুদিয়া সীমান্ত থেকে ধরা পড়ে রবি।
কিন্তু কেন এই খুন?
পুলিশের দাবি, জেরায় রবিশঙ্কর খুনের কথা স্বীকার করেছে। জানিয়েছে, কাকার এক ছেলে রকি। সে মারা গেলে সব সম্পত্তি রবিশঙ্করের হবে। সে জন্যই এক সঙ্গীকে নিয়ে রকির গলা টিপে খুন করে মুখে মাটি ঢুকিয়ে দিয়েছিল। পুলিশ রবির ওই সঙ্গীর খোঁজ শুরু করেছে। পুলিশের দাবি, জেরায় রবিশঙ্কর জানিয়েছে, রকিকে ডেকে সাইকেলে বসিয়ে সর্ষে খেতে নিয়ে যায় রবি ও তার সঙ্গী। সেখানে কথা বলার সময়ে পিছন থেকে রবিশঙ্কর ভাইয়ের গলা টিপে ধরে। সামনে থেকে তার সঙ্গী মৃত্যু নিশ্চিত করতে রকির মুখে মাটি ঢুকিয়ে দেয়। ভাইপো গ্রেফতারের খবর পেয়ে রকির বাবা প্রকাশ বলেন, ‘‘সম্পত্তির লোভে দাদা তার ভাইকে এ ভাবে খুন করতে পারে, ভাবতেই পারিনি।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy