প্রতীকী চিত্র।
শাশুড়িকে মেরে গলায় ফাঁস দিয়ে ঝুলিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল বৌমার বিরুদ্ধে। মঙ্গলবার রাতে গয়েশপুর পুরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের ঘটনা। নিহতের নাম খুকুরানি দাস (৭২)। ওই ঘটনায় পুলিশ অভিযুক্ত টুম্পা দাসকে বুধবার গ্রেফতার করেছে। তাকে এ দিন কল্যাণী আদালতে তোলা হলে বিচারক তিন দিনের পুলিশ হেজাফতের নির্দেশ দেন।
নিহতের মেয়ে পাপিয়া দাসের অভিযোগ, খুকুরানির সঙ্গে টুম্পার প্রায় অশান্তি হত। আগেও টুম্পার সঙ্গে অশান্তির জেরে খুকুরানিকে গয়েশপুরেই মেয়ে পাপিয়া দাসের বাড়িতে থাকতে হয়েছে। দিন পনেরো আগে তিনি বাড়িতে ফেরেন। মঙ্গলবার সপ্তমীর রাতে টুম্পার স্বামী শিবু দাস দুই মেয়েকে নিয়ে দুর্গাপূজা দেখতে গিয়েছিলেন। সেই ফাঁকে খুকুরানিকে খুন করা হয়।
পাপিয়া বলেন, "রাত সাড়ে ১২টা নাগাদ খবর পেয়ে গিয়ে দেখি মায়ের শরীর থেকে রক্ত চুঁইয়ে পড়ছে। গোটা ঘর রক্তে মাখামাখি। দাদা যখন মেয়েদের নিয়ে ঠাকুর দেখতে গিয়েছিল, তখনই বৌদি মাকে কুপিয়ে দড়ি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগিয়ে ঝুলিয়ে দিয়েছে। তবে এই কাজ ওর একার পক্ষে সম্ভব নয়।" পাপিয়ার সন্দেহ, টুম্পা দাসের বাপের বাড়ির লোকও এই ঘটনায় জড়িত।
পুলিশ জানিয়েছে, পাপিয়া দাস মঙ্গলবার রাতেই বৌদি টুম্পা দাসের বিরুদ্ধে কল্যাণী থানায় গলায় ফাঁস দিয়ে খুনের অভিযোগ করেন। পর দিন সকালে টুম্পা দাসকে গ্রেফতার করা হয়। টুম্পার স্বামী শিবুকে থানায় এনে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। তবে পুলিশ জানিয়েছে, খুকুরানির শরীরে কোপানোর চিহ্ন মেলেনি। পাপিয়াও গলায় ফাঁস লাগিয়ে খুনেরই অভিযোগ করেছেন। ময়না-তদন্তের রিপোর্ট এলে মৃত্যুর কারণ বোঝা যাবে। ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy