ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। নিজস্ব চিত্র।
আইএসএফ-কে কেন পঞ্চায়েত ভোটের মনোনয়নপত্র তুলতে দেওয়া হল, এই প্রশ্ন তুলে ব্লক অফিসের সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগ উঠল শাসক তৃণমূলের বিরুদ্ধে। মনোনয়ন প্রক্রিয়ার দ্বিতীয় দিন শনিবার দক্ষিণ ২৪ পরগনার ভাঙড় ২ ব্লকে ঘটনাটি ঘটেছে। তৃণমূলের বক্তব্য, এই ঘটনা ঘটে থাকলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে। বিষয়টি ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হবে বলে জানিয়েছেন বিডিও কার্তিক পাল।
আইএসএফের অভিযোগ, ভাঙ়ড়ের চালতাবেড়িয়া অঞ্চলের দলীয় নেতা সাইম কাদিরকে মনোনয়নের ফর্ম দিয়েছিলেন বিডিও অফিসের কর্মী বিদ্যুৎ ঘোষ। আইএসএফ-কে ফর্ম দেওয়ার কারণেই তাঁকে মারধর করেছেন চালতাবেড়িয়ার এক তৃণমূল নেতা। সাইম বলেন, ‘‘সরকারি আধিকারিককে মারধর করতে পারলে তো এর পর সাধারণ মানুষকেও মারধর করবে। গণতান্ত্রিক দেশে সকলেরই ভোটে দাঁড়ানোর অধিকার রয়েছে। এতে বাধা দেওয়া হবে কেন?’’
সরকারি কর্মীকে মারধরের অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিডিও বলেন, ‘‘বিদ্যুৎবাবুকে মারধরের অভিযোগ সত্য। আমার চেম্বারে উনি এসেছিলেন। ওঁকে মারধর করা হয়েছে। উনি জখম হয়েছেন। আমরা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি জানাচ্ছি।’’
অভিযোগ, ওই ঘটনার সময় বিডিও অফিসেই ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক শওকত মোল্লা, আরাবুল ইসলামেরা। বিরোধীদের অভিযোগ, বিডিও অফিসের একটি ঘরে প্রার্থী বাছাই করছিলেন তাঁরা। সেই সময় বিডিও অফিস চত্বর ঘিরে রেখেছিলেন তৃণমূলের কর্মী-সমর্থকেরা। এর মধ্যে সুষ্ঠু এবং শান্তিপূর্ণ ভাবে মনোনয়নের ফর্ম তোলা এবং তা জমা দেওয়া আদৌ সম্ভব কি না, তা নিয়েও প্রশ্ন উঠেছে। শওকত অবশ্য বলেন, ‘‘এ রকম কোনও ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নেই। তবে আমি খোঁজ নিয়ে দেখব। যদি সত্য হয়, আমাদের তরফ থেকে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে। সরকারি কর্মীদের মারধর করা কখনওই উচিত নয়।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy