—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দিন কয়েকের মধ্যেই শুরু হচ্ছে গঙ্গাসাগর মেলা। পুণ্যার্থীদের স্বাস্থ্য পরিষেবা দিতে ইতিমধ্যেই সব রকম প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার তরফে। বৃহস্পতিবার বিকেলে সাংবাদিক সম্মেলনে এ কথা জানান ডায়মন্ড হারবার স্বাস্থ্য জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক তথা সাগর মেলার নোডাল অফিসার জয়ন্তকুমার সুকুল।
স্বাস্থ্য জেলা সূত্রের খবর, মেলা প্রাঙ্গণ, কচুবেড়িয়া ঘাট, চিমাগুড়ি, নামখানার নারায়ণপুর এবং লট-৮ ঘাটে পাঁচটি অস্থায়ী হাসপাতালগুলি থাকছে। অস্থায়ী হাসপাতালগুলিতে সব মিলিয়ে ১০০ শয্যার ব্যবস্থা থাকছে। মেলা প্রাঙ্গণে অস্থায়ী হাসপাতালে পাঁচ শয্যার সিসিইউ (ক্রিটিকাল কেয়ার ইউনিট) ও ভেন্টিলেটরের ব্যবস্থাও রাখা হচ্ছে। এ ছাড়া, জোকা থেকে সাগর পর্যন্ত বিভিন্ন সরকারি হাসপাতালে ২৬০টি শয্যা পুণ্যার্থীদের জন্য সংরক্ষিত রাখা হচ্ছে।
মেলা প্রাঙ্গণ ছাড়াও ডায়মন্ড হারবার ও কাকদ্বীপ হাসপাতালে সিসিইউ-র ব্যবস্থা থাকছে। সব মিলিয়ে মেলা উপলক্ষে ৩০ শয্যার সিসিইউ তৈরি রাখা হচ্ছে। শিশুদের চিকিৎসার জন্য আলাদা ৫০টি শয্যা থাকছে সাগর, কাকদ্বীপ এবং ডায়মন্ড হারবার হাসপাতালে। মেলা উপলক্ষে এ বার ৭৫৮ জন স্বাস্থ্যকর্মী ও চিকিৎসক থাকবেন। এঁদের মধ্যে রয়েছেন ১০০ জন মেডিক্যাল অফিসার এবং ৩৮ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
অসুস্থ পুণ্যার্থীদের হাসপাতালে পৌঁছে দিতে তৈরি রাখা হচ্ছে ৭৫টি অ্যাম্বুল্যান্স। আধুনিক সুবিধাযুক্ত পাঁচটি অ্যাম্বুল্যান্সও সাগর এবং লট-৮ ঘাটে মোতায়েন থাকবে। থাকছে একটি এয়ার অ্যাম্বুল্যান্স। পুণ্যার্থীদের বিশ্রাম নেওয়ার জন্য ১৪টি বাফার জ়োন খোলা হয়েছে। দুর্ঘটনায় মৃত্যু হলে দ্রুত ময়না তদন্ত করা হবে। সে জন্য সাগর গ্রামীণ হাসপাতালে আলাদা ব্যবস্থা হয়েছে।
জয়ন্ত বলেন, “গঙ্গাসাগর মেলায় এ বার রেকর্ড সংখ্যক পুণ্যার্থী আসতে পারেন। মেলায় এসে তাঁরা যাতে নিরাপদে বাড়ি ফিরতে পারেন, সে জন্য সমস্ত রকম ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। যে কোনও পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য আমরা তৈরি আছি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy