Advertisement
E-Paper

শ্রেণিকক্ষে জমে জল, বন্ধ শৌচালয়! এক মাস ধরে বসিরহাটের স্কুলে আসে না বেশির ভাগ পড়ুয়া

শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, পোকামাকড়। শৌচালয়ও জলের নীচে থাকায় শিক্ষক, শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। স্কুল প্রতি দিনই খোলা হচ্ছে। আসছে না পড়ুয়ারা।

জলমগ্ন বসিরহাটের স্কুল।

জলমগ্ন বসিরহাটের স্কুল। — নিজস্ব চিত্র।

আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা

শেষ আপডেট: ২৯ অগস্ট ২০২৪ ১৪:৪৫
Share
Save

স্কুলে থই থই করছে জল। বেঞ্চ, চেয়ার, টেবিলের অর্ধেক ডুবে সেই জলে। শৌচালয়েও জল জমে। ডুবে রয়েছে মিড ডে মিল রান্নার জায়গাও। গত এক মাস ধরে এমনই অবস্থা বসিরহাটের ভ্যাবলা এলাকার মোক্ষদা আদর্শ জিএসএফপি স্কুলে। পড়ুয়ার সংখ্যা ১২২। মেরেকেটে রোজ ১০-১২ জন হয়তো আসছে স্কুলে। তাদের নিয়ে দোতলায় তিনটে ঘরে চলছে ক্লাস। এক পাশে চলছে মিড ডে মিল রান্না। শিক্ষক-পড়ুয়াদের অভিযোগ, প্রতি বছরই বর্ষার সময় এমন দুর্ভোগ হয়। বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান আশ্বাস দিয়েছেন, দ্রুতই হবে সমস্যার সমাধান।

বসিরহাটের সেই স্কুল, যেখানে গত এক মাস ধরে জমে রয়েছে জল।

বসিরহাটের সেই স্কুল, যেখানে গত এক মাস ধরে জমে রয়েছে জল। —নিজস্ব চিত্র।

পড়ুয়ারা জানিয়েছে, গত এক মাস ধরে স্কুলে জল জমে রয়েছে। জল পচে দুর্গন্ধ বেরোচ্ছে। শ্রেণিকক্ষের মধ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছে সাপ, পোকামাকড়। শৌচালয়ও জলের নীচে থাকায় শিক্ষক, শিক্ষিকা, পড়ুয়ারা তা ব্যবহার করতে পারছেন না। স্কুল প্রতি দিনই খোলা হচ্ছে। শিক্ষক-শিক্ষিকারা নিয়মিত স্কুলে আসছেন। একতলার শ্রেণিকক্ষগুলি আর ব্যবহার করা যাচ্ছে না। তাই দোতলায় তিনটে ঘরে চলছে ছ’টি ক্লাস। গড়ে রোজ জনা আটেক পড়ুয়া ক্লাস করছে। শিক্ষকরা জানিয়েছেন, বাকিরা সাপের ভয়ে স্কুলে আসছে না। দোতলায় একটি শ্রেণিকক্ষের এক দিকে মিড ডে মিল রান্নার কাজ চলছে।

রাজদীপ দেবনাথ নামে এক ছাত্র বলে, ‘‘স্কুলে আসতে খুব ভয় হয়। জলে পড়ে যাই। সাপ, পোকামাকড় জলে ঘুরে বেড়ায়।’’ প্রধানশিক্ষক গোবিন্দপ্রসাদ দাস বলেন, ‘‘প্রতি বছর একই সমস্যা তৈরি হয়। স্কুলের ভিতর জল জমে যায়। তাতে সাপ ঘুরে বেড়ায়। আতঙ্কে অল্প কয়েক জন ছাত্র-ছাত্রী স্কুলে আসে। যারা আসে তাদের দুটো ঘরে বসিয়ে একসঙ্গে ক্লাস করাতে হয়। ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ বা পুরপ্রধানকে জানিয়েছি কিন্তু কোনও কাজ হচ্ছে না। ক্লাসরুমের মধ্যে সাপ, পোকামাকড় ঘুরে বেড়ায়।’’ স্কুলের শিক্ষিকা রিতা রায় বিশ্বাস বলেন, ‘‘আমরা কোন সাহসে ছাত্র-ছাত্রীদের স্কুলে আসতে বলব! স্কুলে ডেঙ্গির মশার ভয়। শৌচালয়ে যেতে পারে না ছাত্র-ছাত্রীরা। আমরাও যেতে পারি না। এই সমস্যা প্রতি বছরের। সমাধান কেউ করেন না।’’

এই বিষয়ে বসিরহাট পুরসভার চেয়ারম্যান অদিতি মিত্র দ্রুত সমস্যা সমাধানের আশ্বাস দেন। তাঁর কথায়, ‘‘ছাত্র-ছাত্রীদের সুরক্ষা আগে দেখতে হবে। অতি দ্রুত ওই স্কুলটা যাতে উঁচু করা যায়, তার ব্যবস্থা করব।’’

Water Logging school Basirhat

সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:

Advertisement

আরও পড়ুন:

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy

এটি একটি প্রিন্ট আর্টিক্‌ল…

  • এমন অনেক খবরই এখন আপনার হাতের মুঠোয়

  • সঙ্গে রোজ পান আনন্দবাজার পত্রিকার নতুন ই-পেপার পড়ার সুযোগ

  • ই-পেপারের খবর এখন শুধুই ছবিতে নয়, টেক্সটেও

প্ল্যান সিলেক্ট করুন

ক্যানসেল করতে পারবেন আপনার সুবিধামতো

Best Value
প্রতি বছরে

৫১৪৮

১৯৯৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।
*মান্থলি প্ল্যান সাপেক্ষে
প্রতি মাসে

৪২৯

১৬৯

প্ল্যানটি সিলেক্ট করে 'Subscribe Now' ক্লিক করুন।শর্তাবলী প্রযোজ্য।