গুলিবিদ্ধ: হাসনাবাদে।
বিদ্যুতের খুঁটিতে আলো লাগানো নিয়ে তৃণমূলের দুই গোষ্ঠীর মারপিট বাধল উত্তর ২৪ পরগনার হাসনাবাদের চিমটা পাটকেলপোতা গ্রামে। মঙ্গলবার সকাল থেকে দফায় দফায় সংঘর্ষ, ভাঙচুর, বোমাবাজি হয়েছে। গুলিও ছোড়া হয়। দু’পক্ষের অন্তত ১২ জন আহত হয়েছেন। গুলিবিদ্ধ রবিউল সর্দার, তোফারা বিবি, আয়ুব আলি সর্দার, কালাম সর্দার, সাহানারা সর্দারকে কলকাতার হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। বাকিরা বসিরহাট এবং টাকি হাসপাতালে ভর্তি। তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, পুরোটাই গ্রাম্যবিবাদ। এর সঙ্গে দলের কোনও সম্পর্ক নেই।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, সম্প্রতি হাসনাবাদের মাখালগাছা পঞ্চায়েতের পক্ষ থেকে চিমটা পাটকেলপোতা গ্রামে বিদ্যুতের খুঁটিতে আলো লাগানোর কাজ চলছে। কোনও এলাকায় আগে আলো লাগানো হবে, তা নিয়েই গ্রামে দু’পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা ছিল। ঠিকাদারের কাছ থেকে কাটমানি চাওয়ারও অভিযোগ উঠেছে।
এ দিন সকালে গোলমাল বড় আকার নেয়। বেলা ১০টা নাগাদ ঠিকাদারের লোকজন আলো লাগাতে এলে দু’দল গ্রামবাসীর মধ্যে হাতাহাতি বাধে। মার খান ঠিকাদার-সহ কয়েক জন। খবর পেয়ে পুলিশ গিয়ে উভয়পক্ষকে বুঝিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
তখনকার মতো যে যার বাড়িতে চলে যায়। বেলা ১২টা নাগাদ দলবল জুটিয়ে ফের শুরু হয় মারামারি। এ বার লাঠিসোঁটার বদলে বোমাবাজি, গুলির লড়াই শুরু হয়।
টাকি হাসপাতালে ভর্তি কাসেম সর্দার, ফতেমা সর্দাররা বলেন, ‘‘আমরা সকলে তৃণমূল করি। হালিম গাজি, তরিকুল সর্দারদের মতো কেউ কেউ উন্নয়ন স্তব্ধ করে দিতে চাইছে বলেই আলো লাগাতে দিচ্ছে না। কাটমানির জন্য ঠিকাদারকে হুমকি দিচ্ছে। প্রতিবাদ করায় আমাদের উপরে হামলা চালায়।’’ নিজেদের তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করে হালিম, তরিকুলরা পাল্টা বলেন, ‘‘গ্রামে অশান্তি শুরু করেছে কাসেম সর্দার, নায়েব সর্দারেরা। ওরা আমাদের উপরে গুলি-বোমা ছুড়েছে।’’ এলাকার তৃণমূল নেতা ফিরোজ কামাল গাজি বলেন, ‘‘এই গ্রাম্য বিবাদের সঙ্গে দলের সম্পর্ক নেই। আইনানুগ ব্যবস্থা নিতে পুলিশকে বলা হয়েছে। কেউ কেউ তৃণমূলকে বদনাম করতে গোষ্ঠীকোন্দল বলে বিষয়টি নিয়ে মিথ্যা প্রচার করছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy