প্রতীকী ছবি।
ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হল দুই যুবকের। গুরুতর জখম হয়েছেন আরও একজন। বুধবার সন্ধ্যা ৭টা নাগাদ ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর ২৪ পরগনার বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখার ঠাকুরনগর স্টেশনের কাছে, মতুয়াদের ঠাকুরবাড়ির উল্টো দিকে। ট্রেনটি শিয়ালদহ থেকে বনগাঁর দিকে আসছিল। জিআরপি জানিয়েছে, মৃতদের নাম অতনু বিশ্বাস (২৫) এবং শুভজিৎ পাল (১৯)। জখম যুবকের নাম জয় দে। অতনু এবং শুভজিতের বাড়ি কাঁঠালতলা উত্তর শিমুলপুর এবং শিমুলপুর চৌরঙ্গী এলাকায়।
রেল পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, এ দিন সন্ধ্যায় তিন বন্ধু রেললাইনের পাশে বসে মোবাইলে অনলাইন গেম খেলছিলেন। জিআরপির অনুমান, কানে হেডফোন থাকায় তাঁরা ট্রেন আসার শব্দ পাননি। ট্রেনের ধাক্কায় কয়েক হাত দূরে ছিটকে পড়েন তিনজন। ঘটনাস্থলেই দু’জনের মৃত্যু হয়। জয়কে প্রথমে চাঁদপাড়া ব্লক গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। শারীরিক অবস্থা আশঙ্কাজনক থাকায় বারাসত জেলা হাসপাতালে স্থানান্তরিত করা হয়েছে। জিআরপি ঘটনাস্থল থেকে দু’টি হেডফোন উদ্ধার করেছে।
আগেও বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় অসতর্কতার ফলে ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। ২০১৮ সালে গাইঘাটার সেকাটি রেলগেট এলাকায় ট্রেনের ধাক্কায় মৃত্যু হয়েছিল বৃদ্ধ পরেশ মজুমদার ও তিন বছরের শিশু শ্রদ্ধা বসুর। ঘটনার দিন দুপুরে রেললাইনের পাশে গামলাতে জল নিয়ে স্নান করছিলেন পরেশ। শিশুটি পৌঁছে গিয়েছিল লাইনের কাছে। তাকে বাঁচাতে গিয়েছিলেন পরেশ। ট্রেনের ধাক্কায় দু’জনের মৃত্যু হয়। ওই বছর জুলাই মাসেও এক শিশুর মৃত্য হয়েছিল গুমা সুকান্তপল্লি এলাকায়। বাড়ির সকলের নজর এড়িয়ে শিশুটি হামাগুড়ি দিয়ে পৌঁছে গিয়েছিল রেল লাইনের ধারে।
দিন কয়েক আগে হাবড়া ২ নম্বর রেলগেট এলাকায় লাইনের পাশে দাঁড়িয়ে ছিলেন এক ব্যক্তি। মোবাইলে কথা বলছিলেন। ট্রেন এলেও টের পান নি। ট্রেনের ধাক্কায় গুরুতর জখম হয়েছিলেন তিনি।
রেল পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বনগাঁ-শিয়ালদহ শাখায় বনগাঁ থেকে বামনগাছি পর্যন্ত তেরোটি রেল স্টেশন রয়েছে। রেলপথের দূরত্ব প্রায় ষাট কিলোমিটার। রেললাইনের দু'পাশে বহু পরিবার বসবাস করেন। তাঁরা রেললাইনের উপর বা পাশে জামা-কাপড়-শাড়ি রোদে শুকোতে দেন, ঘুঁটে দেন, স্নান করেন, গল্পগুজব করেন। এমনকী খেলাধূলাও চলে। পাশ দিয়ে দিনরাত ছুটে চলে ট্রেন। দুর্ঘটনাও ঘটে। বনগাঁ জিআরপি থানার তরফে মাঝে মধ্যে নানা কর্মসূচির মাধ্যমে রেলপাড়ের মানুষকে বিপদ নিয়ে সচেতন করা হয় বলে জানানো হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy