বাসন্তীর বিস্ফোরণের ঘটনায় গ্রেফতার দুই। প্রতীকী চিত্র।
বাসন্তীর বিস্ফোরণের ঘটনায় উঠছে তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দলের অভিযোগ। তৃণমূলের দখলে থাকা বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের এক সদস্যের অভিযোগ পঞ্চায়েত প্রধানের অনুগামীর বাড়িতেই বাঁধা হচ্ছিল বোমা। যদিও তা অস্বীকার করেছেন পঞ্চায়েত প্রধান। তাঁর দাবি, এর সঙ্গে রাজনীতির কোনও যোগ নেই। ওই কাণ্ডে ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
শনিবার দুপুরে বাসন্তীর আমঝাড়া গ্রাম পঞ্চায়েতের ৮ নম্বর তিতকুমার গ্রামে বোমা বিস্ফোরণে ঘটনায় আহত হন কয়েক জন। তা নিয়েই আমঝাড়া পঞ্চায়েতের প্রধান মঞুজল খানের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলেছেন ওই গ্রাম পঞ্চায়েতেরই সদস্য হাবিবুল্লা খান। তিনি বলেন, ‘‘আজ আমাদের একটা সভা ছিল। সেই সভা বানচাল করতেই এই ঘটনা ঘটানো হয়েছে পরিকল্পনা করে। ওরা তোলাবাজ, খুনে অভিযুক্ত। জনগণ পাশে নেই বলে আগ্নেয়াস্ত্র নিয়ে হুমকি দিচ্ছে। মনিরুল খানের বাড়িতে বোমা বাঁধা হচ্ছিল। গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব না হলে এই ঘটনা ঘটে না। মনিরুল তৃণমূলের কর্মী। তবে মিটিং মিছিলে কখনও যেতে দেখিনি।’’
হাবিবুল্লার অভিযোগের উত্তরে মঞ্জুল বলেন, ‘‘উনি যা বলছেন তা ভিত্তিহীন। কোনও প্রলোভনে পা দিয়ে এটা বলছেন। ওখানে কোনও গোষ্ঠীকোন্দল নেই। পারিবারিক সমস্যার কারণে হয়তো দুষ্কৃতীদের ডেকে কেউ এই কাজ করছিল। এর মধ্যে রাজনৈতিক কোনও কারণ নেই। যারা এটা করেছে তাদের নিজেদের জমি বিবাদ আছে।’’
বিষয়টি নিয়ে দোষীদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন বাসন্তীর বিধায়ক শ্যামল মণ্ডল বিধায়ক। এলাকায় শান্তি বজায় রাখতে সাধারণ মানুষের প্রতি আবেদনও জানিয়েছেন শ্যামল। ওই কাণ্ডে পুলিশ ইতিমধ্যেই দু’জনকে গ্রেফতার করেছে বলে জানিয়েছেন ক্যানিংয়ের এসডিপিও দিবাকর দাস। ঘটনার পর থেকে থমথমে ওই এলাকা। জারি রয়েছে পুলিশি তল্লাশি। এলাকায় মোতায়েন পুলিশও।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy