ভেঙে পড়ল দেগঙ্গা বইমেলার গেট।
বইমেলায় অনুপম রায়ের গানের অনুষ্ঠানে মাত্রাতিরিক্ত ভিড় ঘিরে বিপত্তি বাধল দেগঙ্গায়। বেড়াচাঁপায় বীণাপাণি বিদ্যালয়ের মাঠে চলছে ওই বইমেলা। সেখানেই শনিবার রাতে সঙ্গীতশিল্পী অনুপমের অনুষ্ঠান ছিল। মাত্রাতিরিক্ত ভিড়ের চাপে মেলার একটি গেট ভেঙে যায়। তিন স্বেচ্ছাসেবক-সহ কয়েকজন আহত হন বলে স্থানীয় সূত্রের খবর। শেষ পর্যন্ত গানের অনুষ্ঠান বন্ধ করে দেন উদ্যোক্তারা।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, ১১ বছর বন্ধ থাকার পর ফের শুরু হয়েছে দেগঙ্গা বইমেলা। এই উপলক্ষে প্রতিদিন সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান চলছে। মেলায় ঢুকতে টিকিটেরও ব্যবস্থা রয়েছে। শনিবার ছিল গায়ক অনুপম রায়ের অনুষ্ঠান। ফলে, সাধারণ মানুষের মধ্যে উৎসাহ ছিল প্রবল। দুপুরের পর থেকেই টিকিট কেটে প্রচুর মানুষ বইমেলায় ঢুকতে শুরু করেন। সন্ধ্যার মধ্যেই ভরে যায় গোটা মাঠ। মাঠে পুলিশও ছিল।
দেগঙ্গা থানার পুলিশের দাবি, বইমেলার ময়দানের যা ধারণ ক্ষমতা, তার তিন গুণ মানুষ এ দিন বইমেলায় ঢোকেন। ভিড়ের চাপে সন্ধ্যা সাতটা নাগাদ বইমেলায় হঠাৎই হুড়োহুড়ি বেঁধে যায়। আতঙ্কে মানুষ বাইরে বেরোনোর চেষ্টা করেন। সেই সময় ভিড়ের চাপে বইমেলার মূল গেট ভেঙে যায়। সেখানে কর্তব্যরত তিন স্বেচ্ছাসেবক আহত হন। তাঁদের বিশ্বনাথপুর গ্রামীণ হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। বেশ কয়েকজন দর্শনার্থীও ঠেলাঠেলিতে পড়ে গিয়ে আহত হয়েছেন বলে স্থানীয়েরা দাবি করেছেন। ভিড় হটাতে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে তাড়া করে বলেও অভিযোগ। পুলিশ অবশ্য এ কথা মানেনি। দুর্ঘটনার পর মেলার উদ্যোক্তারা গানের অনুষ্ঠান বাতিল করেন। অনুপম রায় মেলায় এলেও স্টেজে ওঠেননি।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, মাঠে সর্বোচ্চ ৫ হাজার মানুষ দাঁড়াতে পারেন। প্রবেশমূল্য ছিল ১০ টাকা। এ দিন ১০ হাজারেরও বেশি টিকিট বিক্রি হয়। টিকিট ছাড়াও বহু মানুষ ঢোকেন। দেগঙ্গা ছাড়াও পাশের হাড়োয়া, শাসন, দত্তপুকুর থেকেও বহু মানুষ গিয়েছিলেন অনুপমের গান শুনতে।
দেগঙ্গার বাসিন্দা রফিক মণ্ডল ও জায়েদ আলি বিশ্বাস বলেন, ‘‘অনুপমকে দেখতে ও গান শুনতে গিয়েছিলাম। একটা থেকে লাইন দিয়ে টিকিট কেটে ঢুকি। ভিড়ের চাপে দম বন্ধ হয়ে আসছিল। হুড়োহুড়িতে জুতো ও ব্যাগ হারিয়েছি। পড়ে গিয়ে হাত-পায়ে চোট লেগেছে।’’
এক স্বেচ্ছাসেবকের দাবি, "তিনটে নাগাদ গেট বন্ধ করে দেওয়া হয়। সন্ধ্যায় বহু মানুষ ঢোকার চেষ্টা করেন। ব্যর্থ হলে হুড়োহুড়ি শুরু হয়। ভিতরে থাকা মানুষও আতঙ্কিত হয়ে দৌড়াদৌড়ি শুরু করে দেন।’’ দেগঙ্গা থানার এক পুলিশকর্তা বলেন, ‘‘ধারণ ক্ষমতার চেয়ে বেশি ভিড় হয়েছিল ঠিকই। সবাই টিকিট কেটে ঢুকেছিল কি না, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’’
মেলার মূল আয়োজক দেগঙ্গা ব্লক তৃণমূলের সভাপতি আনিসুর রহমান বিদেশ। ঘটনার পর তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করা যায়নি। তিনি ফোন ধরেননি।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy