অচল: পথের সিগন্যাল
যানবাহন নিয়ন্ত্রণ ও ট্রাফিক ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজার জন্য লাগানো হয়েছিল সিগন্যাল লাইট, স্পিডোমিটার। দীর্ঘ দিন ধরে সংস্কার ও রক্ষণাবেক্ষণের অভাবে খারাপ হয়ে গিয়েছে সেই আলো ও স্পিডোমিটার। ফলে একদিকে যেমন বাড়ছে যানজট, তেমনই বাড়ছে বিপদের আশঙ্কা।
ঘটকপুকুর চৌমাথা থেকে একটি রাস্তা চলে গিয়েছে কলকাতার দিকে। একটি রাস্তায় চলে গিয়েছে বাসন্তী হয়ে সুন্দরবনের ঝড়খালি। একটি রাস্তা চলে গিয়েছে সোনারপুর এবং একটি রাস্তা চলে গিয়েছে ভাঙড়ের কাঁঠালিয়ার দিকে। বাসন্তী হাইওয়ে-সহ ওই সমস্ত রাস্তা দিয়ে বিভিন্ন রুটের বাস, ট্রাক সহ ছোট-বড় যানবাহন চলাচল করে। বিশেষ করে অফিস টাইমে সিগন্যাল অকেজো থাকার ফলে প্রবল যানজট তৈরি হয়।
ঘটকপুকুরে রয়েছে ভাঙড় ১ ব্লক প্রশাসনের সদর দফতর, ঘটকপুকুর হাইস্কুল, ঘটকপুকুর গার্লস হাইস্কুল, পোস্ট অফিস, ব্যাঙ্ক-সহ সরকারি-বেসরকারি অফিস, বাজার। কলকাতার সায়েন্সসিটি থেকে ঘটকপুকুর হয়ে চলে গিয়েছে বাসন্তী হাইওয়ে। আঁকাবাঁকা বাসন্তী হাইওয়েতে প্রায়ই দুর্ঘটনা ঘটে। দুর্ঘটনা রুখতে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকা ও ভাঙড় থানা এলাকার ঘটকপুকুরে লাগানো হয়েছিল সিগন্যাল লাইট। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় রয়েছে এশিয়ার অন্যতম বৃহৎ চর্মনগরী। প্রতিদিন লক্ষাধিক কর্মী বিভিন্ন যানবাহনে করে বানতলা চর্মনগরীতে কাজে আসেন। কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ের উপরে নজরদারি চালানোর জন্য রয়েছেন কলকাতা পুলিশের ট্রাফিক গার্ড। সিগন্যাল লাইট ও স্পিডোমিটারগুলি খারাপ থাকার ফলে সমস্যায় পড়তে হচ্ছে পুলিশকর্মীদেরও। বিশেষ করে স্পিডোমিটার খারাপ থাকার ফলে যানবাহনের গতি নিয়ন্ত্রণ করতে সমস্যা হচ্ছে। দ্রুতগতির গাড়িগুলি চিহ্নিত করে মামলা দিতে পারা যাচ্ছে না। গত ছ’মাসে ভাঙড় ও কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানা এলাকায় বাসন্তী হাইওয়ের উপরে প্রায় ৩৫টি দুর্ঘটনা ঘটেছে। এর মধ্যে প্রায় ১০-১২ জন মারা গিয়েছেন। স্থানীয় বাসিন্দা নিমাই সর্দার, জুলফিকার মোল্লা জানান, দিন দিন এই রাস্তার উপরে যানবাহনের চাপ বাড়ছে। সেই সঙ্গে পাল্লা দিয়ে বাড়ছে যানজট। যে কারণে আমাদের সমস্যায় পড়তে হচ্ছে। এমন একটি গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় ট্রাফিক ব্যবস্থার আরও উন্নতি প্রয়োজন।
এ বিষয়ে কলকাতা লেদার কমপ্লেক্স থানার আইসি প্রশান্ত ভৌমিক বলেন, ‘‘বেশ কিছু জায়গায় সিগন্যাল লাইট ও স্পিডোমিটার খারাপ হয়ে গিয়েছে। কিছু ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে। সমাধানের জন্য ইতিমধ্যে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হচ্ছে। আপাতত পুলিশ দিয়ে যান নিয়ন্ত্রণের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।’’ — নিজস্ব চিত্র
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy