রত্না বিশ্বাস। —ফাইল চিত্র।
বাংলাদেশিদের এ দেশের ভোটার তালিকায় নাম তুলে দিতে সাহায্য করবেন তৃণমূল নেতা, এ কথা বলে বিতর্কে জড়িয়েছেন শাসক দলের নেত্রী। বৃহস্পতিবার হাবড়ায় এক অনুষ্ঠানে হাবড়া ১ পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেত্রী রত্না বিশ্বাস বলেন, স্থানীয় তৃণূমল নেতা জাকির হোসেন সঙ্গে যোগাযোগ করলে এ ব্যাপারে তিনি সাহায্য করবেন। বিরোধীরা অভিযোগ তোলে, অনুপ্রবেশকারীদের নাম ভোটার তালিকায় তোলার কথা বলছেন নেত্রী। পরে অবশ্য রত্না দাবি করেন, তিনি বলতে চেয়েছিলেন, ১৯৫১-১৯৭১ সালের মধ্যে যাঁরা ভারতে এসেছেন, সেই পরিবারের সদস্যদের ভোটার তালিকায় নাম না থাকলেও যদি পরিবারের লিঙ্ক (আত্মীয়দের কারও যোগাযোগ) থাকে, তা হলে তাঁদের নাম ভোটার তালিকায় তুলে দেওয়ার চেষ্টা করবেন। অনুপ্রবেশকারীদের ভোটার তালিকায় নাম ঢুকিয়ে দেওয়ার কথা তিনি বলতে চাননি বলে দাবি করেন রত্না।
যদিও এতে বিতর্ক থামছে না।
হাবড়ার সিপিএম নেতা আশুতোষ রায়চৌধুরী বলেন, ‘‘বিদেশি রাষ্ট্রের নাগরিকদের কী ভাবে আমাদের দেশের ভোটার তালিকায় নাম উঠতে পারে? দেশে কি আইন কানুন নেই?’’ তাঁর কথায়, ‘‘আজ বাংলাদেশিদের কথা বলছেন, কাল পাকিস্তান-আমেরিকার কথা বলবেন!’’ আশুতোষের কটাক্ষ, ‘‘এ দেশের মানুষের উপরে কি তৃণমূলের আর কোনও ভরসা নেই? তাই বিদেশ থেকে ভোটার আনতে হচ্ছে?’’
বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার শুক্রবার হাবড়ায় এসে তৃণমূল নেত্রীর ওই বক্তব্যের প্রেক্ষিতে এনআইএ তদন্তের দাবি তুলেছিলেন। বিজেপির বারাসত সাংগঠনিক জেলার প্রাক্তন সভাপতি তথা বিজেপির রাজ্য কমিটির সদস্য তাপস মিত্র বলেন, ‘‘রত্না যা বলার বৃহস্পতিবার প্রকাশ্যেই বলে দিয়েছেন। সেটা তৃণমূল দলেরই বক্তব্য। এখন চাপে পড়ে অন্য কথা বলতে পারেন। ওঁর কথাতেই স্পষ্ট, বাংলাদেশি অনুপ্রবেশকারী ও রোহিঙ্গাদের ভোটার তালিকায় নাম তুলে ভোটে জেতার চেষ্টা করছেন।’’
রত্নার পাশে দাঁড়াচ্ছেন তাঁর দলের অনেকে। তবে কেউ কেউ মনে করছেন, বেফাঁস মন্তব্য করেছেন তিনি। দলের এই অংশের অনেকের রত্নার দলের অন্দরে পদ পাওয়া নিয়েও আপত্তি ছিল।
তৃণমূলের হাবড়া ১ ব্লকের সভাপতি জ্যোতি চক্রবর্তী বলেন, ‘‘উনি (রত্না) যা বলেছেন, তা ওঁর নিজস্ব বক্তব্য। এ বিষয়ে আমাদের কোনও বক্তব্য নেই। তবে এমন মন্তব্য করা উচিত নয়।’’
তবে হাবড়া পঞ্চায়েত সমিতির প্রাক্তন সভাপতি তথা তৃণমূল নেতা জাকির হোসেন রত্নার পাশে দাঁড়িয়েছেন। তিনি বলেন, "আমার নিজের বুথে মোট ভোটার ২৪০০। এখানে মুসলিম ভোটার ৩৭০। বাকিরা ১৯৪৮-১৯৭১-এর মধ্যে এসেছেন। ১৯৯০-৯৫-এ অনেকের নাম তালিকা থেকে বাদ গিয়েছিল। সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়ার সময়ে তাঁরা এলাকায় না থাকায় ছবি তুলতে পারেননি।
পরে কিছু মানুষের নাম তালিকায় উঠলেও এখনও সকলের নাম ভোটার তালিকায় ওঠেনি। তাঁদের তালিকায় নাম তোলার কথা বলা হয়েছে।"
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy