সুরক্ষার দাবিতে বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালে আন্দোলনে নেমেছেন এঁরা।
হাসপাতালের নিরাপত্তা, রোগীদের ওয়ার্ডে নিয়ে যাওয়া, বহির্বিভাগে ভিড় সামলানো, অ্যাম্বুল্যান্স থেকে রোগী ওঠানো নামানো, সাফাই সহ হাসপাতালের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ কাজে যুক্ত রয়েছেন অস্থায়ী কর্মীরা। অথচ কোনও রকম সুরক্ষা ছাড়াই তাঁদের কাজ করতে হচ্ছে। ঘটনাটি বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের। দেশ জুড়ে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়েছে। চারিদিকে আতঙ্কের আবহ। তাঁর মধ্যেই মাস্ক, ক্যাপ, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার ছাড়াই কাজ করছেন বনগাঁ মহকুমা হাসপাতালের প্রায় দেড়শো অস্থায়ী কর্মী। অভিযোগ, হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে তাঁরা সমস্যার কথা জানালেও কিছুই কাজ হচ্ছে না। এই পরিস্থিতিতে মঙ্গলবার সকাল থেকে কর্মবিরতি শুরু করেন অস্থায়ী কর্মীরা। পরিষেবা ব্যাহত হয়। দুপুর ৩টে নাগাদ পুরপ্রধান শঙ্কর আঢ্য হাসপাতালে গিয়ে অস্থায়ী কর্মীদের সমস্যা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলেন। তাঁদের মাস্ক ও হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার তুলে দেন। তারপরে কর্মবিরতি ওঠে। অস্থায়ী কর্মীদের দাবি, বনগাঁ মহকুমা বিভিন্ন এলাকা থেকে এখন রোজই জ্বর সর্দিকাশি নিয়ে রোগী হাসপাতালে আসছেন। কয়েকজনকে ইতিমধ্যেই করোনাভাইরাসে আক্রান্ত সন্দেহে বেলেঘাটা আইডি হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। রোগীদের ভিড়ও তাঁদের সামলাতে হচ্ছে। অথচ হাসপাতাল থেকে তাদের মাস্ক, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দেওয়া হচ্ছে না। হাসপাতাল সুপার শঙ্করপ্রসাদ মাহাতো বলেন, ‘‘অস্থায়ী কর্মীরা একটি সংস্থার মাধ্যমে নিযুক্ত। ওই সংস্থাকে বলা হয়েছিল, কর্মীদের জন্য মাস্ক, ক্যাপ, গ্লাভস, হ্যান্ড স্যানিটাইজ়ার দিতে। তাঁরা দেননি। আমিও দিতে অপারগ। কারণ, হাসপাতালে সরবরাহ নেই। জেলা স্বাস্থ্য দফতরকে জানানো হয়েছে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy