প্রতীকী ছবি।
হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে আসা এক তরুণীর র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টে ধরা পড়ে তিনি করোনা পজ়িটিভ। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁকে কোভিড হাসপাতালে রেফার করেন। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে বারাসতে জেলা স্বাস্থ্য দফতরের কন্ট্রোল রুমে যোগাযোগ করে অ্যাম্বুল্যান্স বুক করা হয়। বারাসত কোভিড হাসপাতালে ভর্তির ব্যবস্থা করা হয়। কিন্তু ৪৫ মিনিট পরেও অ্যাম্বুল্যান্স না আসায় তরুণীর পরিবারের লোকজন নিজেদের গাড়ি করে কোভিড হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে ভর্তি করে দেন। তরুণীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। সে কারণে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে কর্তৃপক্ষ গাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার তুলে দিয়েছিলেন। কিন্ত শেষ রক্ষা হল না। বেল সাড়ে ৩টে নাগাদ বারাসত কোভিড হাসপাতাল মারা গিয়েছেন ওই তরুণী।
হাসপাতাল ও স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত তরুণীর বাড়ি অশোকনগর থানা এলাকায়। কয়েক দিন ধরে জ্বর, সর্দি-কাশিতে ভুগছিলেন। বৃহস্পতিবার রাত থেকে শ্বাসকষ্ট শুরু হয়। শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ পরিবারের লোকজন তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে আসেন। তরুণীর বয়স ছাব্বিশ বছর। তিনি মানসিক ভাবেও অসুস্থ ছিলেন।
সরকারি হাসপাতালের অক্সিজেন সিলিন্ডার ব্যক্তিগত গাড়িতে দেওয়ার নিয়ম নেই। তবুও হাবড়া হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ সেই সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন। হাবড়া হাসপাতালের সুপার শঙ্করলাল ঘোষ বলেন, ‘‘রোগিণীর শারীরিক অবস্থার দ্রুত অবনতি হচ্ছিল। শ্বাসকষ্ট ছিল। সে কারণে গাড়িতে অক্সিজেন সিলিন্ডার দেওয়া হয়। জানি এটা নিয়মবিরুদ্ধ কাজ। কিন্তু চেষ্টা করেছিলাম তরুণীকে বাঁচাতে।’’
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, তরুণী যখন সকালে হাবড়া হাসপাতালে আসেন, তখন শরীরে অক্সিজেনের মাত্রা নেমে গিয়েছিল ৭৩-এ। স্বাভাবিক মাত্রা থাকা উচিত ৯৫-৯৮। সুপার বলেন, ‘‘তরুণী পাঁচ দিন ধরে ভুগছিলেন। আরও আগে হাসপাতালে আনা উচিত ছিল।’’ কয়েক দিন আগেও হাবড়ার এক মহিলাকে কোভিড উপসর্গ থাকা সত্ত্বেও পরিবারের লোকজন শেষমুহূর্তে হাসপাতালে আনেন। পরীক্ষায় তিনিও করোনা পজ়িটিভ ছিলেন। অ্যাম্বুল্যান্স আসতে ঘণ্টা তিনেক দেরি হয়। হাসপাতালেই মারা যান মহিলা। স্বাস্থ্য দফতরের কর্তারা জানিয়েছেন, বারাসত থেকে অ্যাম্বুল্যান্স আসার সময়টুকু দিতেই হবে। অ্যাম্বুল্যান্স সব সময় তৈরি থাকে না। উপসর্গ নিয়েও মানুষ হাসপাতালে আসতে দেরি করার ফলে শারীরিক অবস্থার অবনতি হচ্ছে বলে মনে করেন তাঁরা। শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তারপরেই রোগী আসছেন হাসপাতালে, এমন উদাহরণ আরও দেখা যাচ্ছে। শঙ্কর বলেন, ‘‘মানুষকে বুঝতে হবে, দ্রুত চিকিৎসা করালে সুস্থ হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে। দেরি করলে বাড়ে ক্ষতির আশঙ্কা।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy