বাঁধ পরিদর্শনে সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী। ছবি: সমরেশ মণ্ডল।
নদীবাঁধ পরিদর্শনে গিয়ে এলাকার মানুষের বিক্ষোভের মুখে পড়লেন সুন্দরবন উন্নয়নমন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। বৃহস্পতিবার সকালে ঘটনাটি ঘটেছে নামখানার নারায়ণগঞ্জ এলাকায়। বাসিন্দাদের দাবি, বাঁধ মেরামতির কাজ ঠিক মতো হয় না। বাঁধ পরিদর্শনে দেখা মেলে না স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের। এই সব অভিযোগ তুলেই মন্ত্রীর কাছে ক্ষোভ জানান তাঁরা।
স্থানীয় সূত্রের খবর, নারায়ণগঞ্জ এলাকায় বাঁধ ভেঙে একাধিক বার প্লাবিত হয়েছে এলাকা। দুর্গাপুজোর আগেও প্রায় ৫০ মিটার বাঁধ ভাঙে। সেচ দফতর সেই বাঁধ সংস্কারের কাজ করছিল। সেখানেই ফের ভাঙনের ফলে মঙ্গলবার একটি মাটি কাটার গাড়ি সহ চালক নদীগর্ভে তলিয়ে যান। কোনও রকমে প্রাণে বাঁচেন চালক। এর জেরে মানুষের ক্ষোভ আরও বাড়ে। এ দিন মন্ত্রী পরিদর্শনে আসলে পুলিশের সামনেই তাঁকে ঘিরে ধরে বিক্ষোভ দেখান এলাকার মানুষ।
বাসিন্দাদের দাবি, প্রশাসনের তরফে ভাঙা বাঁধ ঠিকঠাক মেরামতি হয় না। ফলে বার বার বাঁধ ভেঙে প্লাবিত হয় ঘরবাড়ি, চাষের জমি। অতীতে এই ভাঙনের কবলে পড়ে এক বয়স্ক মহিলার মৃত্যুও হয়েছে। পাকাপাকি ভাবে বোল্ডার ফেলে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ করলে এমন পরিস্থিতি তৈরি হত না বলেই মত এলাকার মানুষের। তাঁদের আরও অভিযোগ, কোনও সমস্যা হলে এলাকার জনপ্রতিনিধিদের দেখতে পাওয়া যায় না। তাঁদের রাস্তা ঘাটে গাড়ি নিয়ে ঘুরতে দেখা যায়, কিন্তু ভাঙন দেখতে আসার সময় পান না। বিক্ষোভকারী এক মহিলা বলেন, “আমাদের জায়গা জমি কিছুই নেই। থাকার মধ্যে বসত বাড়িটুকু রয়েছে। সেটাও যদি চলে যায় যাব কোথায়? প্রশাসনকে পাকাপাকি ভাবে নদীবাঁধ সারাইয়ের কাজ করতে হবে। না হলে কাজ আর এগোতে দেব না আমরা।”
এ প্রসঙ্গে বঙ্কিম বলেন, “এটা মানুষের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ। এর আগে কোনও জনপ্রতিনিধি এখানে আসেননি। আমিই প্রথম এলাম। ফলে তাঁদের ক্ষোভ স্বাভাবিক। আমি যথাসাধ্য তাঁদের বোঝানোর চেষ্টা করেছি। মানুষের কাছে হাতজোড় করে বলেছি, আমাদের সময় দিন। আমরা পাকাপোক্ত বাঁধের ব্যবস্থা করব খুব তাড়াতাড়ি।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy