বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। ছবি: সংগৃহীত।
অবশেষে সন্দেশখালিতে পৌঁছলেন বিজেপি রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। বসিরহাট থেকে সন্দেশখালির উদ্দেশে তিনি রওনা দেন তিনি। তাঁকে ধামাখালিতে আটকে দেওয়া হয়েছিল। পুলিশ জানায়, সুকান্ত একা চাইলে সন্দেশখালিতে যেতে পারেন। কিন্তু নিরাপত্তারক্ষী ছাড়া আর কাউকে তাঁর সঙ্গে যেতে দেওয়া হবে না। পুলিশের সঙ্গে এ নিয়ে কথা কাটাকাটি হয় বিজেপি নেতাদের। অন্তত দলের এক জনকে সঙ্গে নিতে চেয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু পুলিশ তাতে অনুমতি দেয়নি। এর পর সন্দেশখালি যেতে একাই তিনি লঞ্চে ওঠেন।
সন্দেশখালিতে গিয়ে ধৃত কর্মী বিকাশ সিংহের পরিবারের সঙ্গে দেখা করেন সুকান্ত। তার পর সন্দেশখালি থানায় আইসির সঙ্গে কথা বলতে যাবেন বলেও জানান তিনি।
সন্দেশখালিকাণ্ডে ধৃত বিজেপি কর্মীদের সঙ্গে বৃহস্পতিবার বসিরহাট উপসংশোধনাগারে দেখা করতে গিয়েছিলেন সুকান্ত। কিন্তু তাঁকে দেখা করতে দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ। সংশোধনাগারের বাইরে বেশ কিছু ক্ষণ বিক্ষোভ দেখায় বিজেপি। পরে সুকান্ত সংশোধনাগারে ঢোকেন এবং ধৃতদের সঙ্গে দেখা করেন। বিজেপি সভাপতি বেরিয়ে জানান, তিনি সন্দেশখালি যাবেন।
সন্দেশখালির ঘটনায় এখনও পর্যন্ত বিজেপির ১১ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাঁদের মধ্যে রয়েছেন দলের প্রাক্তন জেলা সভাপতি বিকাশ সিংহও। তাঁদের সঙ্গেই সুকান্ত দেখা করতে চেয়েছিলেন। সংশোধনাগারের দরজা প্রথমে খোলা হয়নি বলে অভিযোগ। বাইরে দাঁড়িয়ে বিক্ষোভ দেখান বিজেপি কর্মীরা। সুকান্ত বলেন, ‘‘আমরা জেলারকে জানিয়েছি, আমাদের দলের কর্মীদের সঙ্গে দেখা করতে চাই। ওরা নির্দোষ। পুলিশ জোর করে ওদের আটক করেছে।’’
পরে দেখা করার অনুমতি দেওয়া হয় সুকান্তকে। তিনি দেখা করে বেরিয়ে বলেন, ‘‘বিকাশ তাঁর পরিবার নিয়ে উদ্বিগ্ন। আমি ওই পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে সন্দেশখালি যাচ্ছি।’’
এর আগে সরস্বতী পুজোর দিন সন্দেশখালিতে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন সুকান্ত। কিন্তু সেখানে পৌঁছনোর আগেই তাঁকে আটকে দিয়েছিল পুলিশ। তখন পুলিশের সঙ্গে বিজেপি কর্মীদের ধস্তাধস্তি হয়। সুকান্তকে পুলিশের গাড়ির বনেটের উপর উঠে পড়তে দেখা গিয়েছিল। তখনই সুকান্ত অসুস্থ হয়ে পড়েন। তাঁকে প্রথমে বসিরহাট হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাঁকে কলকাতার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতালে বেশ কিছু দিন চিকিৎসাধীনও ছিলেন তিনি। বৃহস্পতিবার আবার সেই সন্দেশখালিতে গেলেন সুকান্ত।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy