Advertisement
২৬ নভেম্বর ২০২৪

ট্রেন লক্ষ্য করে ফের পাথর, আহত দুই যাত্রী

বহু বছর বন্ধ থাকার পরে ফের ওই শাখায় ট্রেনে পাথর ছোড়া শুরু হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝে ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া পাথর এসে লেগেছিল সাত বছরের এক বালিকার মুখে।

মিহির ঘোষ

মিহির ঘোষ

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ২৪ অক্টোবর ২০১৯ ০৫:০৪
Share: Save:

শিয়ালদহ-বনগাঁ শাখায় ট্রেন লক্ষ্য করে ফের ছোড়া পাথরের আঘাতে মুখ ফাটল দুই যাত্রীর। মঙ্গলবার রাত ৯টা নাগাদ মধ্যমগ্রাম ছেড়ে হৃদয়পুর স্টেশনে ঢোকার আগে রেললাইনের ধার থেকে ট্রেনে পাথর ছোড়ে দুষ্কৃতীরা। কামরার দরজায় দাঁড়িয়ে থাকা দুই যাত্রী আহত হন। মিহির ঘোষ নামে এক যাত্রীর মুখ ফেটে যায়। তাঁকে হাবড়া স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অপর যাত্রীও মুখে সামান্য আঘাত পেয়েছেন।

বহু বছর বন্ধ থাকার পরে ফের ওই শাখায় ট্রেনে পাথর ছোড়া শুরু হয়েছে। গত ১৩ অক্টোবর দত্তপুকুর ও বামনগাছি স্টেশনের মাঝে ট্রেন লক্ষ্য করে ছোড়া পাথর এসে লেগেছিল সাত বছরের এক বালিকার মুখে। তার মুখ ফেটে যায়। সেই ঘটনায় শোরগোল শুরু হতেই রেল পুলিশের তরফে ওই সব এলাকায় পোস্টার, প্ল্যাকার্ড নিয়ে সচেতনতা প্রচার করা হয়। বনগাঁ থেকে বামনগাছি পর্যন্ত রেললাইনের দু’পাশে বসবাসকারী মানুষের কাছে গিয়েও চলন্ত ট্রেনে পাথর বা বাজি ছোড়া যে অপরাধ, সে ব্যাপারে প্রচার চালানো হয়। ওই ঘটনায় এক জনকে ধরাও হয়। কিন্তু এর পরেও যে পরিস্থিতির বদল হয়নি, মঙ্গলবারের ঘটনায় তা ফের প্রমাণিত। এর ফলে এই লাইনে রেলযাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়েই বড়সড় প্রশ্ন উঠছে।

এ ব্যাপারে পূর্ব রেলের মুখ্য জনসংযোগ আধিকারিক নিখিল চক্রবর্তী বুধবার বলেন, ‘‘ওই শাখায় পাথর ছোড়া রুখতে রেলের তরফে লাগাতার অভিযান, সচেতনতা প্রচার চলছে। এটা জঘন্য অপরাধ। রেললাইনের ধারের বাসিন্দারা সচেতন না হলে কী করে হবে! ওই এলাকায় নজরদারি আরও জোরদার করা হবে।’’ এর আগে পাথর ছোড়া রুখতে ধরপাকড়ের সময়ে পুলিশ দেখেছিল যে, খেলাচ্ছলে বা নেশার ঘোরে স্থানীয়দের একাংশ ওই এলাকায় চলন্ত ট্রেনে পাথর ছুড়ে থাকেন।

রেল পুলিশ জানিয়েছে, মধ্যমগ্রামে একটি সেলাই কারখানায় কাজ করেন মিহির। ঘটনার সময়ে সেখান থেকেই ট্রেনে অশোকনগরের মহাপ্রভু কলোনির বাড়িতে ফিরছিলেন তিনি। ট্রেনের দরজায় দাঁড়িয়ে থাকার সময়ে বড় আকারের একটি পাথর সোজা এসে তাঁর মুখে লাগে। রুমাল-কাপড় চাপা দিয়ে কোনও মaতে রক্ত বন্ধ করার চেষ্টা করেন সহযাত্রীরা। হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরে দেখা যায়, তাঁর পাঁচটি দাঁত ভেঙে গিয়েছে। মুখে দশটি সেলাইও করতে হয়। খবর পেয়ে বারাসতের রেল পুলিশ গিয়ে ঘটনার বিবরণ শুনে অভিযোগ জমা নেয়। দুষ্কৃতীদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে রেল পুলিশ।

মিহিরের স্ত্রী রিঙ্কু ঘোষ বলেন, ‘‘উনি বাড়ির একমাত্র রোজগেরে। কাজে যেতে না পারলে সংসার চলবে না। চিকিৎসার খরচ সামলাবার জন্যও তাই রেলের কাছে আবেদন করেছি।’’ সুব্রত সাহা নামে মিহিরের এক প্রতিবেশী ও রেলযাত্রী বলেন, ‘‘কোনও সুস্থ মানুষ ট্রেন লক্ষ্য করে এ ভাবে পাথর ছুড়তে পারে না। রেললাইনের পাশে বেশ কিছু জায়গায় নেশার আখড়া তৈরি হয়েছে। তারাই এ সব করছে। রেলের আরও সজাগ হওয়া উচিত।’’

অন্য বিষয়গুলি:

Train Sealdah Passenger Injured
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy