ফাইল চিত্র।
গত বছর জন্মাষ্টমী উপলক্ষে কচুয়ায় লোকনাথ ধামে আসা ভক্তদের ভিড়ের চাপে পাঁচিল ভেঙে মৃত্যু হয় বেশ কয়েক জনের। দিন কয়েক আগে বারাসতে যাত্রা উৎসবের সূচনা করতে এসে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়েছিলেন, উত্তর ২৪ পরগনায় লোকনাথের দুই ধাম চাকলা এবং কচুয়ার সার্বিক উন্নয়ন করা হবে। তার পরেই শুক্রবার চাকলায় গিয়ে সেখানকার পরিকাঠামো খুঁটিয়ে দেখলেন জেলায় পুলিশ সুপার অতুল বিশ্বনাথন।
আর কিছু দিন বাদেই লোকনাথের তিরোধান দিবস উপলক্ষেও এই জেলায় ভক্ত সমাগম হবে। তার আগেই পুলিশ সুপার চাকলায় গিয়ে মন্দিরে ঢোকার পথ, মূল মন্দিরে পুজো দেওয়া এবং সেখান থেকে বার হওয়ার পরে মূল রাস্তায় ওঠার পথ খুঁটিয়ে দেখেন। সে সব নিয়ে বৈঠক করেন মন্দির কমিটির সঙ্গে।
শনিবার পুলিশ সুপার বলেন, ‘‘উৎসব উপলক্ষে লোকনাথ ধামে প্রচুর মানুষের সমাগম হয়। সেই ভিড় সামলাতে কেমন ব্যবস্থা রয়েছে, আরও কী কী করা যায় সে সবই দেখাশোনা করা হয়েছে।’’
গত বছর কচুয়ায় দুর্ঘটনার পরে সরু রাস্তা ও পুকুরের পাশে দোকান বসা নিয়ে সমালোচনার মুখে পড়ে পুলিশ-প্রশাসন। মুখ্যমন্ত্রী কচুয়া ও চাকলা ধামের উন্নয়নের কথা ঘোষণার পরে বরাদ্দ হয়
আর্থিক অনুদান।
জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, বারাসত-টাকি রোডের কচুয়া মোড় থেকে লোকনাথ মন্দিরে যাওয়ার রাস্তাটি চওড়া করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি চাকলা ধামে ঢোকার পরে ভক্তদের নিরাপত্তার বিষয়েও গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে।
পুলিশ সুপারকে স্থানীয় বাসিন্দারা জানান, দেগঙ্গা থানা থেকে ১৬ কিলোমিটার দূরে চাকলা ধাম। ফলে সারা বছরই পুলিশি সহায়তা পেতে চাকলায় নতুন একটি থানা হোক।
যদিও জেলা প্রশাসন সূত্রে খবর, দেগঙ্গা থানা ভেঙে চাকলায় নতুন একটি থানা গড়ার প্রস্তুতি চলছে। চাকলা ধামে বৈঠকের পরে স্থানীয় পুলিশ ফাঁড়িতে গিয়ে সেখানকার পরিকাঠামো এবং পুলিশি ব্যবস্থা খতিয়ে দেখেন
পুলিশ সুপার।
চাকলা লোকনাথ ধামের কর্ণধার মানিক হাজরা বলেন, ‘‘পুলিশ সুপার সামগ্রিক পরিকাঠামো খতিয়ে দেখে বেশ কিছু নির্দেশ দিয়েছেন। তিনি স্থানীয় মানুষের সঙ্গে কথা বলে অসুবিধার কথা শুনেছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy