ফুঁসছে মুড়িগঙ্গা। — নিজস্ব চিত্র।
প্রবল বৃষ্টির জেরে নদীতে জলস্ফীতি। আর তার জেরে ফাটল ধরল নদীর বাঁধে। সোমবার এই ছবি দেখা গিয়েছে দক্ষিণ ২৪ পরগনার রায়দিঘি এবং বাসন্তীতে। শুরু হয়েছে বাঁধের সেই ফাটল মেরামতির কাজ। প্রশাসনের তরফে সতর্কতা জারি করা হয়েছে নদী এবং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায়।
সোমবার দুপুরে ফাটল দেখা যায় রায়দিঘিতে মণি নদীর বাঁধে। সেই ফাটল দিয়ে জল ঢুকে জলমগ্ন হয়ে পড়ে আশপাশের কিছু এলাকা। আবার বাসন্তীর সোনাখালি এলাকায় হোগল নদীর বাঁধের প্রায় ১৫০ মিটার অংশ ভেঙে পড়ে নদীতে। নদীবাঁধে ফাটল লক্ষ করা গিয়েছে ঝড়খালিতেও। তবে সেখানে মেরামতির কাজ শুরু হয়েছে। ধবলাট, বঙ্কিমনগর এবং মুড়িগঙ্গা-২ এলাকায় নদীবাঁধ ভেঙে গিয়েছিল আগেই। সেই বাঁধ মেরামতির কাজ শুরু করেছে প্রশাসন।
মুড়িগঙ্গা নদীতে জলস্ফীতির জেরে সাগরের কচুবেড়িয়া শ্মশানঘাট চলে যায় জলের নীচে। সোমবার সকাল থেকেই জলমগ্ন হয়ে পড়েছিল দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এবং শহরতলির বিস্তীর্ণ এলাকা। বিশেষ করে সাগর, নামখানা, কাকদ্বীপ, পাথরপ্রতিমা, রায়দিঘি, কুলতলি এবং বাসন্তীর বহু এলাকায় জমেছে জল। একই ছবি দেখা গিয়েছে বারুইপুর, ডায়মন্ড হারবার এবং মহেশতলাতেও। রবিবার বিকেল থেকে জলমগ্ন হয়ে পড়েছে বারুইপুর পুরসভার ৪ ও ১৪ নম্বর ওয়ার্ড। স্থানীয় পঞ্চাননতলা থেকে অক্ষয়নগর পর্যন্ত এলাকা জলমগ্ন হয়ে পড়ায় ভোগান্তির মুখে পড়েছেন বাসিন্দারা। প্রশাসনের তরফে নদী এবং সমুদ্র তীরবর্তী এলাকায় জারি করা হয়েছে সতর্কতা। তবে বাসিন্দাদের সরানো হচ্ছে না এখনই। জেলার প্রতিটি মহকুমা শাসকের দফতরে চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। জেলার বাঁধের পার্শ্ববর্তী এলাকার উপর চালানো হচ্ছে বিশেষ নজরদারি। দক্ষিণ ২৪ পরগনার জেলাশাসক সুমিত গুপ্তা বলেন, ‘‘রবিবার থেকেই সব ধরনের ব্যবস্থাপনা নিয়ে রাখা হয়েছিল। প্রস্তুত ছিল সেচ দফতরও। বাঁধের অবস্থা খারাপ থাকলে দ্রুত তা মেরামত করতে বলা হয়েছে। চালু করা হয়েছে কন্ট্রোল রুম। প্রয়োজন হলে উপকূলের মানুষকে সরানো হতে পারে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy