উপকূল এলাকায় জোয়ারের সময় জলস্তর বৃদ্ধি পায় গড়ে ৩ মিলিমিটার পর্যন্ত। কিন্তু ডায়মন্ড হারবার এবং সংলগ্ন এলাকায় জলস্তর বৃদ্ধি পাচ্ছে ৪ মিলিমিটারের আশেপাশে। যা উদ্বেগের বলেই মনে করছেন পরিবেশবিদরা। জলবায়ু পরিবর্তন এবং দক্ষিণ ২৪ পরগনার উপকূল এলাকার জনজীবনে তার প্রভাব নিয়ে সাম্প্রতিক একটি গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী ২৫ বছরের মধ্যেই প্রাকৃতিক বিপর্যয় ঘটে যাওয়ার আশঙ্কা রয়েছে। এমনটাই মনে করেন আইআইটি খড়্গপুরের গবেষক মৈনাক মণ্ডল। সম্প্রতি পরিবেশ বিষয়ক একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে এমনটাই দাবি করেছেন মৈনাক।
মৈনাকের মতে, অপরিকল্পিত ভাবে বাঁধ নির্মাণের জেরে নদীর গতিপথ বদলাচ্ছে। এ ছাড়াও অত্যধিক হারে গাছ কাটা, বিশ্ব উষ্ণায়ণ-সহ নানা কারণে বাড়ছে জলস্তর। তিনি বলেন, ‘‘ঝড় বা ঘূর্ণিঝড়ের পর অনেককেই পরিবেশ নিয়ে সচেতন হতে দেখা যায়। কিন্তু প্রতিনিয়ত পরিবেশের পরিবর্তন নিয়ে অনেকেই মাথা ঘামান না। এটা আরও মারাত্মক এবং ধ্বংসাত্মক ব্যাপার। ডায়মন্ড হারবারের মতো জেলার অন্যান্য উপকূলীয় এলাকায় নদীতে ব্যাপকহারে জলস্ফীতি দেখা যাচ্ছে। এ ভাবে চলতে থাকলে আগামী ২০-২৫ বছরের মধ্যে বড়সড় চ্যালেঞ্জের মুখে পড়বে এই এলাকা। মানুষের সচেতন হওয়া দরকার।’’
আরও পড়ুন:
-
চাকরির দাবিতে নবান্ন অভিযান, পুলিশের হাতে আটক চাকরিপ্রার্থীরা
-
মাত্র দু’দিনেই বিদেশ থেকে আসা যাত্রীদের মধ্যে ৩৯ জন কোভিডে আক্রান্ত, উদ্বেগ বাড়ল কেন্দ্রের
-
অসুস্থ শতায়ু হীরাবেন মোদী, মাকে দেখতে গুজরাতের হাসপাতালে প্রধানমন্ত্রী
-
করোনা পরিস্থিতি নিয়ে পর্যালোচনা বৈঠকে নবান্ন, জেলাগুলিকে একাধিক নির্দেশ মুখ্যসচিবের
ডায়মন্ড হারবারের রবীন্দ্র ভবনে আয়োজিত ২ দিনের এই অনুষ্ঠানে অংশ নেয় ‘বর্ণ অনন্য’, ‘গাছেদের জন্য গান’, ‘ডট থ্রি’-সহ গানের কয়েকটি ব্যান্ড। আয়োজকদের তরফে অনীক ভট্টাচার্য বলেন, ‘‘ডায়মন্ড হারবার শহর বললে টুকরো টুকরো কিছু ছবি মাথায় আসে। কিন্তু তার বাইরে পরিবেশ, মানুষের সংগ্রাম, নদী, ভাঙন, গান, ছবি, চিত্রকলা এ সব নিয়ে অনেকেই ভাবছেন না। মানুষের কাছে সেই সব তুলে ধরতে ২ দিন উৎসব করেছি আমরা।’’ ২ দিনের এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছিল ডায়মন্ড হারবারের একটি সংস্থা।Post Copy: পরিবেশ নিয়ে উদ্বেগ