Advertisement
২০ জানুয়ারি ২০২৫
Crime

পথে গুলিবিদ্ধ দেহ যুবকের, গ্রেফতার ছয়

মূল অভিযুক্তের স্ত্রী, মা-সহ মোট ছ’জন গ্রেফতার হয়েছেন। 

ছবি: সংগৃহীত।

ছবি: সংগৃহীত।

নিজস্ব সংবাদদাতা
শেষ আপডেট: ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২০ ০৩:১৮
Share: Save:

মাঝরাতে ঘুম থেকে ডেকে নিয়ে গিয়েছিল পাড়ার বন্ধু। রাতভর নিখোঁজ থাকার পরে মিলল সেই যুবকের গুলিবিদ্ধ দেহ। যার জেরে শুক্রবার ধুন্ধুমার বাধল ঘোলা থানার পানিহাটির আজাদনগরে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্তের বাড়িতে ভাঙচুর চালান এলাকার বাসিন্দাদের একাংশ। নিহত লোকনাথ দাসের (২৭) দেহ ময়না-তদন্তে পাঠিয়েছে পুলিশ। মূল অভিযুক্তের স্ত্রী, মা-সহ মোট ছ’জন গ্রেফতার হয়েছেন।

আজাদনগরে ঠাকুরমার সঙ্গে থাকতেন লোকনাথ। একটি হোসিয়ারি কারখানায় কাজ করতেন তিনি। মৃৎশিল্পী হিসেবেও এলাকায় পরিচিতি ছিল। মিশুকে স্বভাবের বলে পাড়ার সকলেই ভালবাসতেন তাঁকে। ঠাকুরমা শোভা দাস জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টায় কাজ থেকে বাড়ি ফেরেন লোকনাথ। পোষা কুকুরকে খাইয়ে, নিজে খেয়ে ঘুমোতে যান তিনি। রাত দেড়টা নাগাদ পাড়ারই বাসিন্দা সোমনাথ দাস লোকনাথের নাম ধরে ডাকে। শোভাদেবী উঠে নাতিকে ডেকে দেন। সোমনাথের সঙ্গে বেরিয়ে যান লোকনাথ। সোমনাথের সঙ্গে আরও কয়েক জন যুবক ছিল।

রাতে আর বাড়ি ফেরেননি লোকনাথ। শোভাদেবী ভেবেছিলেন, কোনও বন্ধুর বাড়িতে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছেন তাঁর নাতি। পরদিন বেলার দিকে মুড়াগাছায় কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধার থেকে লোকনাথের গুলিবিদ্ধ দেহ উদ্ধার করে ঘোলা থানার পুলিশ। এলাকার লোকজন শোভাদেবীকে থানায় নিয়ে যান। সেখানে দেহটি লোকনাথের বলে শনাক্ত করেন তিনি।

স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, খুনের খবর পেয়েই ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এলাকার বাসিন্দারা। এ দিন দুপুরে তাঁরা সোমনাথের বাড়িতে চড়াও হয়ে ভাঙচুর চালান। সোমনাথের পরিজনেরা আতঙ্কে অন্যের বাড়িতে আশ্রয় নেন। থানায় গিয়ে সোমনাথ-সহ আট জনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ দায়ের করেন শোভাদেবী। তার ভিত্তিতে পুলিশ সোমনাথের স্ত্রী সোনাই দাস, মা চন্দনা দাস-সহ মোট ছ’জনকে গ্রেফতার করে।

তদন্তে জানা গিয়েছে, রাতে কল্যাণী এক্সপ্রেসওয়ের ধারে লোকনাথকে নিয়ে বসে মদ খায় সোমনাথ। তার সঙ্গে বান্টি, বাবু ও বুড়ো নামে কয়েক জন স্থানীয় যুবকও ছিল। পরে লোকনাথের বুকে গুলি করে তাঁকে খুন করা হয়। পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, লোকনাথের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক তৈরি হয়েছে বলে সন্দেহ করত সোমনাথ। সেই আক্রোশের বশেই সে লোকনাথকে খুন করেছে বলে মনে করছে পুলিশ। ব্যারাকপুরের পুলিশ কমিশনার মনোজ বর্মা বলেন, “প্রেমঘটিত কারণ আছে বলে প্রাথমিক ভাবে জানা গিয়েছে। তদন্ত চলছে।” শুক্রবার রাত পর্যন্ত সোমনাথের নাগাল পায়নি পুলিশ।

অন্য বিষয়গুলি:

Crime Murder
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের মাধ্যমগুলি:
Advertisement

Share this article

CLOSE

Log In / Create Account

We will send you a One Time Password on this mobile number or email id

Or Continue with

By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy