কাঁকিনাড়ায় চলছে সংঘর্ষ, বোমাবাজি। ছবি: সজল চট্টোপাধ্যায়
মুখ্যমন্ত্রীর সভা এবং পাল্টা বিজেপির সভা। তার পরে এক দিন কাটতে না কাটতেই ফের অশান্ত হয়ে উঠল ভাটপাড়ার কাঁকিনাড়া।
রবিবার রাত থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত দফায় দফায় বোমাবাজির জেরে কার্যত বন্ধের চেহারা নেয় কাঁকিনাড়ার বিস্তীর্ণ এলাকা। সোমবার সকালের বোমাবাজিতে জখম হয়েছেন দু’জন। তৃণমূলের দাবি, আহতরা তাঁদের দলের সমর্থক। বিজেপি বেছে বেছে তাঁদের উপরেই হামলা করছে। বিজেপি পাল্টা তৃণমূলের বিরুদ্ধে বোমাবাজি করে গোলমাল পাকানোর অভিযোগ এনেছে। বোমাবাজির জেরে এলাকায় ফের আতঙ্ক জাঁকিয়ে বসেছে।
গত সপ্তাহে তৃণমূলের দুই সমর্থক খুন হন। তার পর এলাকায় পুলিশি প্রহরা জোরদার থকায় গত কয়েকদিন বিশেষ গোলমাল হয়নি। এই ঘটনার পরে গত শুক্রবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কাঁচরাপাড়ায় কর্মিসভা করেন। সেই সভায় তিনি পুলিশকে নির্দেশ দেন, কোথাও কেউ গোলমাল পাকানোর চেষ্টা করলে তা যেন কড়া হাতে দমন করা হয়। যাঁদের বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তাঁদের ৩ দিনের মধ্যে গ্রেফতার করারও নির্দেশ দেওয়া হয়। পরদিন ওই একই মাঠে সভা করে বিজেপি। সেখানে বিজেপি নেতারা হুঁশিয়ারি দেন, তাঁদের কোনও কর্মীর গায়ে হাত পড়লে ব্যারাকপুর মহকুমার সব থানা ঘেরাও করা হবে। তার পরদিনই অশান্ত হয়ে উঠল কাঁকিনাড়া।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার রাতে কাঁকিনাড়ার ৫ নম্বর রেল সাইডিংয়ে শুরু হয় বোমাবাজি। বোমবাজির ফলে এলাকা আতঙ্কিত হয়ে পড়ে। বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট। সাধারণ মানুষ বাড়ির বাইরে বেরোতে পারেননি। পুলিশ ঘটনস্থলে যায়। রাতের দিকে বোমাবাজি থামে। সোমবার সকাল সাড়ে ৯টা নাগাদ ৫ এবং ৬ নম্বর রেল সাইডিংয়ে শুরু হয় বোমাবাজি। সাইডিং-সংলগ্ন এলাকাগুলিতে ঢুকে দুষ্কৃতীরা বোমাবাজি শুরু করে বলে অভিযোগ। তার ফলে আবার বন্ধ হয়ে যায় দোকান-বাজার।
তৃণমূল নেতা সোমনাথ শ্যাম বলেন, “বিজেপি পুরো ভাটপাড়া এলাকাকে সন্ত্রস্ত করে রাখতে চাইছে। রবিবার রাতে ওরা বোমাবাজি শুরু করার পরে পুলিশে যেতে তা বন্ধ হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সকালে এলাকা স্বাভাবিক হতেই ওরা ফের বোমাবাজি শুরু করে। তাতে আমাদের দুই সমর্থক জখম হয়েছেন। রাজনৈতিক ভাবে মোকাবিলা করলে মানুষ ওদের ছুড়ে ফেলবে।” সোমনাথের অভিযোগ, এলাকা শান্ত থাকলে ওদের অসুবিধা। তাই বিজেপি ভয় জিইয়ে রাখতে চাইছে।
তৃণমূলের এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ভাটপাড়ার বিধায়ক, বিজেপির পবন সিংহ। তিনি বলেন, “বোমাবাজি পুরোটাই করছে তৃণমূল। ভোটে হেরে ওরা বোমাবাজি করে এলাকা দখল করতে চাইছে। চারদিক দিয়ে এলাকা ঘিরে রেখে বোমাবাজি করছে। পুলিশ প্রশাসনকে আমরা অনুরোধ করেছি, যত তাড়াতাড়ি এলাকায় শান্তি ফেরানো যায়।” পুলিশ জানিয়েছে, রবিবার রাতে একটি বোমা পড়েছিল। সোমবার সকালে গোটাপাঁচেক বোমা পড়ে। দুপুরের পর থেকে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গিয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy