—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
দেশের অস্থির অবস্থার জেরে চোরাপথে পালিয়ে এ দেশে চলে এসেছিলেন মহিলা, শিশু সহ এগারো জন বাংলাদেশি। নদী পেরিয়ে এ দেশে ঢুকে সুন্দরবনের জঙ্গলে অপেক্ষা করছিলেন পরবর্তী গন্তব্যের জন্য। শুক্রবার বন দফতরের টহলদারির সময়ে তাঁদের আটক করা হয়। পরে তাঁদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। পুলিশ জানিয়েছে, বৈধ ভারতীয় পরিচয়পত্র না থাকার কারণেই তাঁদের গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রের খবর, ধৃতদের বাড়ি বাংলাদেশের খুলনা জেলার করেয়া থানা এলাকায়। বাংলাদেশে অস্থির পরিস্থিতিতে তাঁদের উপরে লাগাতার অত্যাচার চলছিল বলে অভিযোগ করেছেন তাঁরা। তার জেরেই শিশুদের সঙ্গে নিয়ে বাংলাদেশের জলসীমা অতিক্রম করে ভারতীয় ভুখণ্ডে ঢুকে পড়েন। বৃহস্পতিবার রাতে দালালের হাত ধরে ৪৫ হাজার টাকার বিনিময়ে সকলে বিএসএফের চোখে ধুলো দিয়ে ভারতীয় জলসীমা অতিক্রম করে সুন্দরবনে ঢোকেন। শুক্রবার ভোরে তাঁদের সুন্দরবনের জঙ্গলে নামিয়ে দিয়ে পালিয়ে যায় বাংলাদেশি দালাল। অনুপ্রবেশকারী সুব্রত মণ্ডল বলেন, “কথা ছিল এ দেশের এক দালাল আমাদের কলকাতার কেষ্টপুরে নিয়ে যাবে। কিন্তু সে না আসায় আমরা জঙ্গলের পাড়েই বসেছিলাম। তখন বন দফতরের লোকেরা আমাদের ধরে থানায় নিয়ে আসে।”
সুন্দরবন ব্যাঘ্র প্রকল্পের ডেপুটি ফিল্ড ডিরেক্টর জোন্স জাস্টিন বলেন, “বনকর্মীরা টহলদারির সময়ে জঙ্গলের দিকে এক সঙ্গে অনেক মানুষকে দেখতে পান। সন্দেহ হওয়ায় জিজ্ঞাসাবাদ করে। কথা বলে বোঝা যায়, ওঁরা বাংলাদেশ থেকে এখানে চলে এসেছেন। এরপরে পুলিশের হাতে সকলকে তুলে দেওয়া হয়েছে।”
ক্যানিংয়ের এসডিপিও রাম মণ্ডল বলেন, “১১ জন বাংলাদেশিকে গ্রেফতার করা হয়েছে। এর মধ্যে এক জন পুরুষ রয়েছেন। তাঁকে সাত দিনের পুলিশ হেফাজতের আবেদন জানানো হয়েছে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য। পাশাপাশি, আমরা নজরদারি কড়া করছি, যাতে কোনও ভাবে অনুপ্রবেশকারীরা এলাকায় ঢুকতে না পারে।”
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy