আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার বাড়িতে শওকত মোল্লা। — নিজস্ব চিত্র।
ভাঙড় পুনরুদ্ধারে এলাকার প্রাক্তন বিধায়ক তথা রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী আব্দুর রেজ্জাক মোল্লার পরামর্শেই আস্থা রাখছেন ক্যানিং পূর্বের তৃণমূল বিধায়ক শওকত মোল্লা। তিনি ভাঙড়ের পর্যবেক্ষকও বটে। মঙ্গলবার রেজ্জাকের বাড়ি যান শওকত। দু’জনের মধ্যে কিছু ক্ষণ আলোচনাও চলে। মোলাকাতের পর শওকত জানিয়েছেন, কাজে আসবে রেজ্জাকের পরামর্শ।
দক্ষিণ ২৪ পরগনার তৃণমূল সূত্রে খবর, রাজনীতিতে বরাবরই রেজ্জাককে ‘গুরু’ মানেন শওকত। সিপিএমে থাকাকালীন রেজ্জাক ছিলেন ক্যানিং পূর্বের বিধায়ক। যেখানে বর্তমান বিধায়ক তাঁরই ‘শিষ্য’ শওকত। তৃণমূলে যোগ দেওয়ার পর ভাঙড় থেকে বিধায়ক হয়েছিলেন রেজ্জাক। বর্তমানে সেই ভাঙড়েরই পর্যবেক্ষক শওকত। মঙ্গলবার সকালে সেই শওকতই আচমকা হাজির হন ভাঙড়ের বাকরি গ্রামে রেজ্জাকের বাড়িতে। সামনে পঞ্চায়েত নির্বাচন। এই আবহে ভাঙড়ে জোড়াফুল শিবিরের সংগঠনকে আরও শক্তিশালী করে তুলতে কী করা উচিত তা নিয়ে দু’জনের মধ্যে বেশ কিছু ক্ষণ আলোচনা হয় বলে জানিয়েছেন ভাঙড়ের পর্যবেক্ষক।
এ নিয়ে শওকত বলেন, ‘‘কাকার শরীর খারাপ। কয়েক দিন ধরেই আসব আসব করছিলাম, আজ এলাম দেখে গেলাম। রেজ্জাক কাকা এক জন প্রবীণ রাজনীতিবিদ, মুরুব্বি মানুষ। বাংলার রাজনীতি সম্পর্কে দীর্ঘ অভিজ্ঞতা আছে রেজ্জাক কাকার। ভাঙড়ের মতো জায়গায় আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তা নিয়েও কাকার সঙ্গে কিছু কথা বললাম। তিনি কিছু পরামর্শ দিলেন। যেটা আগামিদিনে আমি কাজে লাগানোর চেষ্টা করব।’’ রেজ্জাক কাকার সঙ্গে কথা বলে মুগ্ধ শওকত। তাঁর বক্তব্য, ‘‘ওঁর রাজনৈতিক জীবন শুরু এবং শেষ ভাঙড় দিয়েই। ভাঙড়ের নাড়িনক্ষত্র ওঁর জানা। সেই কারণেই ওঁর কাছে এসেছি। ওঁর পরামর্শ নিলাম। সেটা কাজে লাগবে। বলে না, পুরনো চাল ভাতে বাড়ে। ওঁর মতো ধুরন্ধর রাজনীতিবিদের পক্ষে সবই সম্ভব।’’
‘শিষ্য’ শওকতের বিনয়ে খুশি ‘গুরু’ রেজ্জাকও। তাঁর বক্তব্য, ‘‘শওকত পারবে। ওর সেই দক্ষতা আছে এবং ক্ষমতাও আছে। ভাঙড়ে ভাইজান বললে অনেকে হামলে পড়ে। সেটা কাটাতে পারলে হবে। আমি আছি যখন, তখন অবশ্যই পরামর্শ দেব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy