শান্তনু ঠাকুর। —ফাইল চিত্র।
ভারতীয় সীমান্তের মধ্যে নাকা চেকিংয়ের নামে বিএসএফের কিছু জওয়ান সাধারণ প্রান্তিক মানুষকে হেনস্থা করছেন বলে অভিযোগ তুললেন বনগাঁর সাংসদ তথা কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
রবিবার বাগদার মণ্ডপঘাটায় সাংবাদিক বৈঠক করে শান্তনু এই অভিযোগ করেন। তিনি জানান, স্বরূপনগরের হাকিমপুরে বিএসএফের একটি নাকা চেকিং পোস্ট আছে। ওই পোস্টের পরে প্রায় ১৫-২০ হাজার মানুষের বসবাস। তাঁদের যাতায়াতের একটিই রাস্তা। সেই পথে নাকা চেকিংয়ের সময়ে মানুষকে হেনস্থা করা হচ্ছে বলে অভিযোগ সাংসদের। নিত্য প্রয়োজনীয় মালপত্র নিয়ে যাতায়াত করতে সমস্যা হচ্ছে তাঁর দাবি। জওয়ানেরা প্যাকেট খুলে মালপত্রও পরীক্ষা করে দেখেন, ফলে মানুষের খুবই অসুবিধা হয় বলে জানান তিনি। এ বিষয়ে বিএসএফকে জানিয়েছেন বলেও দাবি করেছেন শান্তনু।
তিনি বলেন, ‘‘ওই এলাকায় কেউ বাইরে থেকে বিয়ের সম্বন্ধ দেখতে এলে তাঁদের কার্যত পোশাক খুলে পরীক্ষা করা হয়। এই সমাজবিরোধী কাজ বন্ধ হওয়া উচিত।’’
সম্প্রতি এলাকার মানুষকে নিজের লেটার হেডে দেওয়া শান্তনুর একটি চিঠি নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়েছে। সে বিষয়ে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী বলেন, ‘‘ওই এলাকার তৃণমূলের পঞ্চায়েত সদস্যেরা তাঁদের প্যাডে তৃণমূলের সমর্থকদের চিঠি লিখে দিচ্ছেন। এর ফলে চেকিং কম হচ্ছে। কিন্তু সাধারণ মানুষ ও বিজেপির সমর্থকেরা বঞ্চিত হচ্ছেন। এর মধ্যে কোনও অর্থনৈতিক বিষয় থেকে থাকতে পারে।’’
শান্তনুর দাবি, এলাকায় বিজেপির কোনও পঞ্চায়েত সদস্য নেই। বিধায়ক নেই। তাই সাংসদ, মন্ত্রী হিসেবে বিজেপির লোকজন এবং সাধারণ মানুষকে তিনি নিজের প্যাডে চিঠি লিখে দিয়েছেন। এর মধ্যে অনৈতিক কিছু নেই। মানুষ যাতে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র নিয়ে যাতায়াত করতে পারেন, সে কারণেই চিঠি লিখে দিয়েছেন বলে তাঁর দাবি।
এ বিষয়ে তৃণমূলের বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার সভাপতি বিশ্বজিৎ দাস বলেন, ‘‘শান্তনু ঠাকুর টাকা ছাড়া কোনও কাজ করেন না। ওই এলাকায় যারা চোরাচালানে যুক্ত, তাদের সুবিধা করে দিতে তাদের হয়ে চিঠি লিখে দিয়েছেন।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy