সেফ হোম। নিজস্ব চিত্র
এখনও পর্যন্ত হাসনাবাদ ব্লকে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৭০ ছুঁই ছুঁই। আক্রান্তদের মধ্যে অনেকের কোনও উপসর্গ না থাকায় বাড়িতে পৃথক ভাবে রেখে চিকিৎসা করা যেতে পারে। তবে অনেকে ক্ষেত্রে দেখা যায়, বাড়িতে আলাদা ঘর, শৌচাগার নেই। এই পরিস্থিতিতে তাঁদের বসিরহাটের মেরুদণ্ডীতে সেফ হোমে পাঠাতে হত এত। এ বার হাসনাবাদ ব্লকের করোনা আক্রান্তদের প্রয়োজন মেটানোর জন্য সোমবার থেকে এলাকায় চালু হল সেফ হোম। হাসনাবাদ কর্মতীর্থে ৪০ বেডের এই সেফ হোম চালু হয়েছে।
যে দু’জন ফ্লোর ম্যানেজার ও দুই সাফাই কর্মী থাকবেন, তাঁরা সকলে এক সময়ে করোনা আক্রান্ত হয়েছিলেন। করোনা জয়ী এই ব্যক্তিরা নিজেদের অভিজ্ঞতা শুনিয়ে করোনা আক্রান্তদের মানসিক ভাবে সবল রাখতে চেষ্টা করবেন। ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক জানান, মূলত উপসর্গহীন বা সামান্য উপসর্গ আছে— এমন রোগীকে এই সেফ হোমে রাখা হবে। তবে প্রাথমিক চিকিৎসার জন্য সব রকম ব্যবস্থা রাখা হবে। একটি মেডিক্যাল টিম সব সময়ে থাকবে। এ ছাড়া, যদি কোনও আক্রান্তের হঠাৎ শারীরিক অবস্থার অবনতি হয়, তবে দ্রুত ইমারজেন্সি মেডিক্যাল টিম চলে আসবে। প্রয়োজনীয় চিকিৎসা দিয়ে রোগীকে কিছুটা স্থিতিশীল করে সঙ্গে সঙ্গে কোভিড হাসপাতালে পাঠানো হবে। সে জন্য সব সময়ে একটি অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। ব্লক প্রশাসন সূত্রের খবর, আক্রান্তদের খাবারের দিকেও বিশেষ ভাবে নজর দেওয়া হবে। টিফিনে ফল, দুধ সহ বিভিন্ন পুষ্টিকর খাবার দেওয়া হবে। সেই সঙ্গে রাতে ও দুপুরের খাবারেও রাজ্য সরকারের নির্দেশ মতো মাছ বা ডিম, সব্জি, টক দই ইত্যাদি দেওয়া হবে। সব সময়ের জন্য সেফ হোমে পুলিশি নিরাপত্তাও থাকবে। এ বিষয়ে হাসনাবাদের বিডিও অরিন্দম মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘‘সেফ হোমের শয্যা সংখ্যা প্রয়োজনে ৬০ করার পরিকল্পনা আছে। এখানে হাসনাবাদ ব্লকের বাসিন্দা ছাড়াও অন্য ব্লকের বাসিন্দাদেরও প্রয়োজন হলে রাখা হতে পারে।’’ তিনি আরও জানান, এখনও কেউ এই সেফ হোমে আসেনি। তবে প্রস্তুতি সেরে
ফেলা হয়েছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy