রাস্তার পাশে পসরা। ছবি: নির্মাল্য প্রামাণিক।
রাস্তার উপর দাঁড়িয়ে আছে সারি সারি অটো, ভ্যান, গাড়ি। তার মধ্যেই এসে দাঁড়াচ্ছে বাস। যাত্রী তোলার জন্য সেগুলিও ধীর গতিতে এগোচ্ছে। রাস্তার পাশে ফুটপাতে নানা রকমের পসরা সাজিয়ে বসেছে দোকানিরা।
গাইঘাটা বাজার এলাকার যশোর রোডের এই পরিস্থিতির জন্যই যানজট হচ্ছে। পথচারীদের হাঁটার জায়গা নেই। রাস্তাটি সরু হয়ে গিয়েছে। ঘটছে দুর্ঘটনাও। এলাকাবাসীরা জানান, পরিস্থিতি মারাত্মক হয় সোম ও শুক্রবার। ওই দু’দিন এখানে হাট বসে। সকালে দূর থেকে চাষিরা সব্জি এনে রাস্তার উপরেই তা নামান। সে সময় ওই রাস্তায় যাতায়াত কার্যত বন্ধ হয়ে যায়। বনগাঁ থেকে রোগী নিয়ে কলকাতায় যেতে সমস্যা হয়। যানজটে দীর্ঘক্ষণ আটকে পড়ে অ্যাম্বুল্যান্স।
বহুদিন ধরেই স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, যশোর রোড সম্প্রসারণ করা হোক। না হলে এই সমস্যার সমাধান হবে না। সম্প্রতি প্রশাসনের পক্ষ থেকে যশোর রোড চওড়া করার পদক্ষেপ করা হয়েছে। এক প্রবীণের কথায়, ‘‘এই রাস্তার জন্য আমাদের জীবনের গতি থমকে গিয়েছে। এলাকার বহু মানুষ নানা প্রয়োজনে বারাসত বা কলকাতায় যান। যানজটের জন্য তাঁদের যাতায়াত করতে নাভিশ্বাস উঠে যায়। সময়ও অনেক বেশি লাগে।’’ যশোর রোড সম্প্রসারণের জন্য ইতিমধ্যেই সমীক্ষার কাজ শুরু হয়েছে। এলাকার ব্যবসায়ীরাও ওই কাজে সহযোগিতার আশ্বাসও দিয়েছেন। গাইঘাটা বাজারের ব্যবসায়ী সমিতির সম্পাদক স্বপন দাস বলেন, ‘‘যশোর রোডের কাজ দ্রুত শুরু হোক। আমারা সব রকম সহযোগিতা করব।’’ পাশাপাশি তিনি আবেদন জানান, যে সব গরিব মানুষ উচ্ছেদ হবেন তাঁদের যেন পুনর্বাসনের বিষয়টি দেখা হয়। এখানে ফুটপাত দখল করে ব্যবসা করছেন প্রায় দু’শো জন। তাঁদের মধ্যে অনেকেই সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন। গাইঘাটা হাইস্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক জগন্নাথ শেঠ বলেন, ‘‘যশোর রোড সম্প্রসারণ হওয়া উচিত। যে ভাবে যানবাহন বেড়েছে তাতে সড়ক চওড়া না হলে যাতায়াত করা অসম্ভব। দুর্ঘটনাও বাড়ছে।’’চাঁদপাড়া বাজার এলাকাতেও যশোর রোড জবর দখল করে অটো ভ্যান স্ট্যান্ড তৈরি হয়েছে। বেআইনি দোকানও গড়ে উঠেছে। এখানেও যানজট সমস্যা রয়েছে। এখানকার মানুষও চাইছেন এই সড়ক সম্প্রসারণ হোক। জাতীয় সড়ক কর্তৃপক্ষ সূত্রে জানা গিয়েছে, বারাসতের ডাকবাংলো মোড় থেকে পেট্রাপোল সীমান্ত পর্যন্ত প্রায় ৬০ কিলোমিটার পথের সমীক্ষা চলছে। প্রাথমিক ভাবে ঠিক হয়েছে সড়কটির দু’টি লেন হবে। তবে সর্বত্র সম্প্রসারণের কাজ হবে না। যেমন পেট্রাপোল সীমান্ত থেকে বনগাঁর দিকে প্রায় তিন কিলোমিটার পথে ইতিমধ্যেই দু’টি লেন হয়ে গিয়েছে। ওই এলাকায় নতুন করে সড়ক চওড়া করা হবে না। এই এলাকার গাছ ও জবরদখল করে থাকা দোকানপাট চিহ্নিত করার কাজও চলছে।
জাতীয় সড়কের বনগাঁ মহকুমার সহকারী বাস্তুকার জয়ন্ত চক্রবর্তী বলেন, ‘‘এখন ডিপিআর বা প্রকল্প তৈরির কাজ দ্রুত গতিতে চলছে। তা প্রায় শেষ পর্যায়ে রয়েছে।’’ গাইঘাটা পঞ্চায়েত সমিতির সহ সভাপতি ধ্যানেশনারায়ণ গুহ বলেন, ‘‘রাস্তা চওড়া করার জন্য আমরা প্রাশাসনকে সব রকমের সাহায্য করব।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy