(বাঁ দিকে) বৃহস্পতিবার সন্দেশখালির রাস্তায় বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্রের নেতৃত্বে বিক্ষোভ। —নিজস্ব চিত্র। রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম (ডান দিকে)। —ফাইল চিত্র।
কলকাতার মেয়র তথা তৃণমূল নেতা ফিরহাদ হাকিমের বিরুদ্ধে সন্দেশখালি থানায় অভিযোগ দায়ের করলেন বিজেপি নেত্রী রেখা পাত্র। তাঁকে নিয়ে কুমন্তব্যের অভিযোগ রয়েছে ফিরহাদের বিরুদ্ধে। যা নিয়ে বৃহস্পতিবার সন্দেশখালিতে রেখার নেতৃত্বে বিক্ষোভও দেখান মহিলারা। অভিযোগ, রেখার সম্বন্ধে কুমন্তব্য করে সন্দেশখালির মহিলাদের অপমান করেছেন ফিরহাদ। অপমান করা হয়েছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকেও। তারই প্রতিবাদে ফিরহাদের অপসারণের দাবি জানানো হয়েছে।
ফিরহাদের বিরুদ্ধে বৃহস্পতিবার দুপুরে বিক্ষোভ মিছিল বেরোয় সন্দেশখালিতে, যার নেতৃত্বে ছিলেন রেখা। বিজেপির মহিলা কর্মীরাও তাঁর সঙ্গে ছিলেন। গলায় প্ল্যাকার্ড ঝুলিয়ে তাঁরা মিছিল করে থানায় যান। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল একাধিক স্লোগান। রেখা বলেন, ‘‘আমাদের রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম যে ভাষায় দেশের প্রধানমন্ত্রীকে আক্রমণ করেছেন, সন্দেশখালির মা-বোনদের যে ভাষায় আক্রমণ করেছেন, তার বিরুদ্ধে আমরা থানায় অভিযোগ জমা দিতে এসেছি। মন্ত্রীরাই যদি এই ধরনের ভাষা প্রয়োগ করেন, তা হলে আমরা কোন রাজ্যে বাস করছি? এর জন্য মুখ্যমন্ত্রীই দায়ী। আমাকে উদ্দেশ্য করে নোংরা ভাষা ব্যবহার করেছেন ফিরহাদ। তা আমরা মুখে প্রকাশ করতে পারব না। এটা লজ্জাজনক। লজ্জায় আমাদের মাথা হেঁট হয়ে যাচ্ছে। ফিরহাদের পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছি।’’
কী বলেছিলেন ফিরহাদ?
বসিরহাটের হাড়োয়া কেন্দ্রে উপনির্বাচন হবে আগামী ১৩ নভেম্বর। বুধবার তারই প্রচারে গিয়েছিলেন ফিরহাদ। সন্দেশখালির প্রসঙ্গ উঠলে তিনি বলেন, ‘‘সন্দেশখালিকে কলঙ্কিত করেছে বিজেপি, সন্দেশখালির মানুষের নামে কুৎসা রটিয়েছে, দেশের কাছে সন্দেশখালি নিয়ে ভুল বার্তা দিয়েছে। এখানকার মেয়েদেরও বদনাম হয়েছে। কিছু দিন আগে আমার সন্দেশখালির এক বন্ধুর মেয়ের বিয়ে ঠিক হয়েছিল ক্যানিংয়ে। কিন্তু ছেলের বাড়ি থেকে বিয়ে ভেঙে দেওয়া হয়। বলে, সন্দেশখালি থেকে মেয়ে আনলে পাড়ার লোকে বলবে, সে মেয়ে পবিত্র নয়।’’ এর পরে রেখাকে উদ্দেশ করে একটি কুমন্তব্য করেন ফিরহাদ। আক্রমণ করেন প্রধানমন্ত্রীকেও।
উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে রেখাকে প্রার্থী করেছিল বিজেপি। তৃণমূলের হাজি নুরুল ইসলামের কাছে কয়েক লক্ষ ভোটে হারেন তিনি। কিছু দিন আগে হাজি নুরুলের মৃত্যু হয়েছে। সাংসদ হওয়ার আগে তিনি হাড়োয়ার বিধায়ক ছিলেন। তাঁর শূন্যস্থান পূরণের জন্য সেখানে উপনির্বাচন হচ্ছে। লোকসভায় রেখার হারকে ইঙ্গিত করেই বিতর্কিত মন্তব্যটি করেছিলেন ফিরহাদ।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy