—প্রতিনিধিত্বমূলক ছবি।
ব্যারাকপুর-২ ব্লকের শিউলি পঞ্চায়েতের তেলিনিপাড়া হাইস্কুলে ৩০ ও ৩১ নম্বর বুথে ত্রিস্তরীয় পঞ্চায়েত পুনর্নির্বাচনে সোমবারের ছবিটা ছিল স্বাভাবিক। এ দিন গোটা এলাকা ছিল পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনীর ঘেরাটোপে। ভোটকেন্দ্রে সশস্ত্র বাহিনীর নজরদারিতে ভোটগ্রহণ চলল সকাল ৭টা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত। প্রায় তিন হাজার ভোটারের ওই দু’টি বুথে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে ৪৮ শতাংশ।
সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস হওয়ায় এ দিন দ্বিতীয়ার্ধে ভোট দেওয়ার ভিড় ছিল চোখে পড়ার মতো। বিশেষত, বিকেল ৫টায় সেক্টর অফিসার যখন ভোটকেন্দ্রের বাইরে গিয়ে ‘যাঁরা বাকি আছেন, ভোট দিয়ে যান’ বলে হাঁকলেন, তখন কয়েকশো ভোটারকে লাইনে এসে দাঁড়াতে দেখা গেল। ভোটের স্লিপ পরীক্ষা করতে গিয়ে ধরা পড়লেন ওই কেন্দ্রের ভোটার নন, এমন পাঁচ জন মহিলা। তাঁদের পুলিশ সঙ্গে সঙ্গে বার করে দেয়। এ দিন সকালে ১৪৪ ধারা অমান্য করে ভোটকেন্দ্রের বাইরে এসে পৌঁছনো বাইক বাহিনীকেও পুলিশ ধমকে তাড়ায়। এর পরেই ভোটকেন্দ্রে আসার মূল রাস্তায় নাকা তল্লাশি বসায় পুলিশ ও কেন্দ্রীয় বাহিনী।
ডিসি (সেন্ট্রাল) আশিস মৌর্য-সহ ব্যারাকপুর কমিশনারেটের আধিকারিকেরা এ দিন ভোটকেন্দ্রে মূল ফটকের পাহারায় ছিলেন। ওই বুথ দু’টিতেই শনিবার ছাপ্পা ভোট ও ব্যালট বাক্সে জল ঢেলে ব্যালট পেপার ছিঁড়ে ফেলার অভিযোগ উঠেছিল বহিরাগতদের বিরুদ্ধে। বেলা ১১টা পর্যন্ত ভোটগ্রহণের পরে সে দিন ভোট বাতিল হয়। পুনর্নির্বাচনে ভোটগ্রহণে যাতে দেরি না হয়, তাই বেলা ১১টা নাগাদ সেখানে অতিরিক্ত ভোটকর্মী নিয়োগ করা হয়। তবে, পৃথক লাইন না থাকায় অনুযোগ করেন প্রবীণ ভোটারেরা। বিকেলে ভোটারদের ভিড়় দেখে নির্বাচনী আধিকারিকেরা বলেন, ‘‘নিরাপত্তা নিশ্চিত থাকলে গরম উপেক্ষা করেও মানুষের মধ্যে ভোট দেওয়ার আগ্রহ থাকে।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy