রাস্তা আটকে বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন মানুষ। ছবি: সুদীপ ঘোষ
মৃতদেহ নিয়ে যশোর আটকে রেখে বিক্ষোভ দেখালেন কিছু মানুষ। পুলিশকে ঘিরে ক্ষোভ জানান তাঁরা। বুধবার দুপুরে যশোর রোডের দিঘার মোড়ে ঘণ্টা দু’য়েক অবরোধ চলে। গাড়ির লম্বা লাইন পড়ে যায়। যানজটে ভোগান্তি হয় বহু মানুষের। বিক্ষোভকারীদের দাবি, জমিজমা নিয়ে জালিয়াতির শিকার হয়েছিলেন মৃত ওয়াহিদ বক্স মণ্ডল। সুবিচার পাননি। মানসিক ভাবে বিধ্বস্ত হয়ে পড়েছিলেন। তারই জেরে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা গিয়েছেন। জালিয়াতির ঘটনায় জড়িতদের শাস্তির দাবি জানিয়েছেন তাঁর পরিবার-পরিজনেরা।
দত্তপুকুর থানার কাশিমপুর পঞ্চায়েত এলাকায় থাকতেন ওয়াহিদ। মঙ্গলবার রাতে মারা যান বাড়িতেই। বুধবার দুপুরে দেহ রাস্তায় রেখে শুরু হয় অবরোধ। পুলিশ আসে। তাদের ঘিরেও বিক্ষোভ চলে। পরে পুলিশের অনুরোধে অবরোধ ওঠে। দেহ নিয়ে শেষকৃত্যে যান পরিবারের লোকজন।
ওয়াহিদের পরিবার সূত্রের খবর, তাঁর ১৭ কাঠা জমি জাল দলিল করে বিক্রি করেছিলেন এক আত্মীয়। স্থানীয় ব্যবসায়ী খায়রুল ইসলাম তা কেনেন। কয়েক মাস আগে খায়রুল জমির দখল নিতে গেলে শুরু হয় বিবাদ। ওয়াহিদ পুলিশের দ্বারস্থ হন। চিঠি লেখেন মুখ্যমন্ত্রীকেও। তাঁর ছেলে শহিদুল বলেন, ‘‘শাসকদলের মদতে জমি দখল করেছেন ওই ব্যবসায়ী। জাল দলিল বানিয়েছিল আমাদেরই এক আত্মীয়।’’ ওই আত্মীয়ের কথায়, ‘‘ওঁরা আসল দলিল দেখাতে পারেননি। জমির মালিক হলে তো দলিল থাকবে, সেটা ওঁদের নেই।’’ খায়রুল বলেন, ‘‘আমি টাকা দিয়ে জমি কিনেছি। অথচ, ওঁরা দাবি করেছিলেন, তাঁদের জমি। এ দিকে, রেকর্ডে তাঁর নাম নেই।’’
দত্তপুকুর থানার পুলিশের দাবি, দু’পক্ষই জমির দলিল দেখিয়েছিলেন। বিষয়টি নিয়ে নানা জটিলতা আছে। পরিবার দু’টিকে আদালতের সাহায্য নিতে হতে পারে।
এ দিন বহু যাত্রী নাকাল হয়েছেন অবরোধের জেরে। বারাসতগামী বাসের যাত্রী মৃণাল মণ্ডল বলেন, ‘‘রাস্তা অবরোধ করে কি সমস্যার সমাধান হয়? বহু মানুষ এতে সমস্যায় পড়েন। বারাসত হাসপাতালে রোগীকে দেখাতে যাচ্ছিলাম। দেরি হওয়ায় বিপাকে পড়লাম।’’
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy