অসুস্থ: মারধরের পরে। নিজস্ব চিত্র
বাড়ির সামনে ঘন ঘন শব্দবাজি ফাটছিল। টানা শব্দে অসুস্থ বোধ করছিলেন অনেকে। প্রতিবাদ জানান পড়শিরা। অভিযোগ, তারই জেরে আক্রান্ত হলেন একই পরিবারের চার জন। আহতদের মধ্যে এক অন্তঃসত্ত্বাও রয়েছেন। ঝুম্পা হালদার নামে ওই তরুণীকে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এই ঘটনায় পাঁচ জনের বিরুদ্ধে। বাসন্তী থানায় অভিযোগ দায়ের করেছে আক্রান্ত পরিবারটি। কাউকে গ্রেফতার করা যায়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রের খবর, রবিবার কালীপুজোর রাতে ১১টা নাগাদ বাসন্তীর দক্ষিণ মোকামবেড়িয়া গ্রামে নবকুমার চৌধুরী, মিঠুন চৌধুরী, সনৎ সর্দার, মিলন মণ্ডল-সহ কয়েক জন শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল বলে অভিযোগ। পাশেই থাকেন সঞ্জয় সর্দাররা। ছেলে বিশ্বজিৎকে নিয়ে বেরিয়ে এসে শব্দবাজি ফাটাতে বারণ করেন তাঁরা। কথা কাটাকাটি বেধে যায়। অভিযোগ, ওই যুবকেরা গালিগালাজ শুরু করে। প্রতিবাদ করলে সঞ্জয়কে মারধর করা হয়।
পরিবারের সদস্যদের মার খেতে দেখে বিশ্বজিতের অন্য ভাইয়েরা বেরিয়ে আসেন। প্রহৃত হন তাঁরাও। স্বামীকে মার খেতে দেখে বেরিয়ে এসেছিলেন ন’মাসের অন্তঃসত্ত্বা ঝুম্পা। অভিযোগ, তাঁকেও মারধর করা হয়। চুলের মুঠি ধরে ধাক্কা মেরে ফেলে দেওয়া হয়। পরে তাঁকে ভর্তি করা হয় হাসপাতালে।
অন্য একটি ঘটনায়, বাজি ফাটানো নিয়ে গোলমাল বাধে কালীপুজোর রাতে। অশোকনগরের ১/৩ রবীন্দ্রপল্লি এলাকার ঘটনা। শব্দবাজি ফাটাচ্ছিল কয়েক জন মদ্যপ যুবক। আগুনের ফুলকি এক মহিলার ঘরে চলে আসে। প্রতিবেশী সুজয় দাস প্রতিবাদ করেন। অভিযোগ, মদ্যপ যুবকেরা তাঁকে মারধর করে। সুজয়ের দাদা সুশান্ত এগিয়ে এলে তাঁর পেটে ধারাল অস্ত্রের আঘাত করা হয়েছে বলেও অভিযোগ। এলাকার লোকজন ছুটে এলে অভিযুক্তেরা পালায়। সুশান্তকে অশোকনগর স্টেট জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। পরে পাঠানো হয়েছে বারাসত জেলা হাসপাতালে। পুলিশ অভিযুক্তদের খোঁজে তল্লাশি শুরু করেছে।
Or
By continuing, you agree to our terms of use
and acknowledge our privacy policy
We will send you a One Time Password on this mobile number or email id
Or Continue with
By proceeding you agree with our Terms of service & Privacy Policy